কোটচাঁদপুরে কেনা জমি দখল মুক্ত করতে জাকিয়া মহাছিনা নামে ভুক্তভোগী এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা ভবনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার আর্দশ পাড়ার সোনাভান বিবি ও চায়না খাতুন এর নিকট থেকে ১৯৭৬ ও ১৯৮৬ সালে ৪৬ নং মৌজার ২২৫২ খতিয়ানের পৃথক দলিলে ৩২ শতাংশ ও প্রতিবেশি একার উদ্দিনের নিকট থেকে ৭ শতাংশ সহ মোট ৩৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ১৯৯২ সালে ক্রয়কৃত এ জমিতে ৩’শ টি শিশু গাছ লাগান ভুক্তভোগীর পরিবার।
১৯৯৮ সালে বিএস জরিপে ৩২ শতাংশ জমি ১০৪৭ দাগে ক্রেতাদের নামে রেকর্ড হয়। জবর-দখলকারী ভদু মন্ডল স্থানীয় সেটেলেেমন্টে ২৯ ও ৩০ ধারায় মামলা করেন। এতে ভদুমন্ডল তার পক্ষে জমির কোন কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে না পারায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে ভদু মন্ডল ও তার বোন আয়না খাতুন জমির অংশ দাবি করে বিজ্ঞ আদালতে আমদের বিরুদ্দে দেওয়ানী মামলা করেন।
কিন্তু এ মামলায় জমি বিক্রেতা সোনাভান বিবি ও চায়না খাতুন বাদী হননি। ভদু মন্ডল ২০০০ সালে রাতের অন্ধকারে জমির দক্ষিণ পাশের একাংশে ঘর তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তিতে ২০০১ সালের ১৮ জানুয়ারী বাদী পক্ষ ভদু মন্ডলের অভিযোগ স্বত্ত প্রমানিত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ মামলাটিও খারিজ করে দেন। এবং আপিলেও এ রায় বহাল থাকে।
এক পর্যায়ে ২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী ক্রেতাগন কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র বরাবর ভদু মন্ডলের জবর-দখলের বিষয়ে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে মেয়র ভদু মন্ডলকে জমি খালি করার জন্য নির্দেশ দেন। সেই সাথে খরচ বাবদ ৬ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য জমি মালিক পক্ষকে বলেন।
কিন্তু ভদু মন্ডল পৌর মেয়রের নির্দেশ অমান্য করে আজ অবধি অবৈধ স্থাপনা অপসারন ও জমি খালি করেননি। জমির খাজনা পরিশোধ, বৈধ দলিল রেকর্ড সহ যাবতীয় কাগজ পত্র থাকার পরেও ভুক্তভোগী জমির মালিকগন তাদের জমি ভোগ-দখল করতে পারছেন না।
এসময় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জাকিয়া মহাছিনার মাতা আফরিনা আক্তার, জামাতা এখলাছুর রহমান সহ অন্যান্য ওয়ারিশগন উপস্থিত ছিলেন।