ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের দুধসারা গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা শিশুর জানাযা নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে ইমামকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাধারণ মুসল্লিদের বিক্ষোভে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দুধসারা হটাত পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে দুধসারা হটাত পাড়ার সাইফুল ইসলামের মেয়ে বিথি খাতুন (১১) মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। শনিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে শিশুটির ময়না তদন্ত হয়। সন্ধ্যায় দুধসারা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজির আহম্মেদকে জানাযা পড়াতে বলেন মৃতের পরিবার। হুজুর ওই এলাকার মসজিদের ইমাম আছে জানিয়ে বলেন, নামাজ পড়ানোর অধিকার ওই ইমামের। তিনি যদি পড়াতে না পারেন, তাহলে আমার নিকট আসবেন। এতে মৃতের পরিবারের লোকজন ইমামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ইমাম মসজিদে যাবার পথে দুধসারা গ্রামের আরাফাতের ছেলে জহির (৩০), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে সোহেল (২৬) সহ অজ্ঞাত ৫/ জন যুবক ইমাম নজির আহম্মেদ কে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। খবর পেয়ে সাধারণ মুসল্লিরা ইমামের পক্ষে বিক্ষোভ করে ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। আহত ইমাম নজির আহম্মেদকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি শহরের বেনেপাড়ার মুনছুর আহম্মেদের ছেলে। দীর্ঘ ২২ বছর যাবত দুধসারা জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।
কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন বলেন, জানাযা পড়াকে কেন্দ্র করে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কথা না। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।