পৃথক দুইটি ঘটনায় কোটচাঁদপুরে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে আতিয়ার রহমান( ৪৫) মারা গেছেন গাছ চাপা পড়ে। আর মজনুর রহমান(৫৫) মারা গেছেন সিমেন্টের বস্ত্রা চাপা পড়ে। আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, কোটচাঁদপুরের রথখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারের গাছ কাটা কাজ করছিলেন,আতিয়ার রহমান সহ কয়েক জন শ্রমিক। তারা কয়েকদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের গাছ কাটার কাজ করছিলেন। আজ শুক্রবার তারা একটি মেহগনি গাছ কাটার সময় ঘটে এ ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে সহকর্মী রতন মন্ডল বলেন,কয়েকদিন যাবৎ এক ঠিকাদারের টেন্ডারে পাওয়া গাছ কাট ছিলাম, মেহগনি গাছটি কাটার শেষের দিকে কিছু বুঝে উঠার আগেই ভেঙ্গে তাঁর কোমরের উপর পড়ে। এ সময় উদ্ধার করে তাঁকে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নেয়া হয়।
চিকিৎসক তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাকে স্বজনরা যশোর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই মারা যায় আতিয়ার রহমান। সে কোটচাঁদপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে। পারিবারিক জীবনে তিনি ৫ ছেলে মেয়ের জনক।
অন্যদিকে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুরের কবর স্থান পাড়ার মজনুর রহমান মারা গেছেন সিমেন্টের বস্ত্রা চাপা পড়ে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইনসুর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে তাঁর সহকর্মী বলুহর গ্রামের আশাদুল ইসলাম বলেন,বহিরগাছি গ্রামের পুটকে মন্ডলেন বাড়িতে নির্মানধীন ভবনের কাজ করছিলেন। এ সময় মজনুর রহমান একটি সিমেন্টের বস্ত্রা মাথায় করে ছাদে উঠছিলেন। হঠাৎ করে সে পা সিলিপ করে নিচে পড়ে যান। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম বলেন,দূর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই জন কোটচাঁদপুর হাসপাতালে আসেন। এদের মধ্যে মজনুর রহমানকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আর আতিয়ার রহমানকে আহত অবস্থায় পেয়েছিলাম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শারমিন আক্তার বলেন, দুইটি ঘটনায় মৌখিক ভাবে জেনেছি। এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষের কেউ কোন জিডি বা অভিযোগ করেনি।