ফসলের ক্ষতিপুরন ও দোষিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কোটচাঁদপুর উপজেলার বলরামনগর গ্রামের বাসিন্দারা।
বুধবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমিতে এমানববন্ধন করেন তারা। এ সময় চাষীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ওই দুই গ্রামের প্রায় শতাধিতক নারী-পুরুষ। বুধবার বিকাল ৫ টার সময় মানববন্ধন শুরু হয়। যা চলে প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
মনববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৫ বছর আগে চতুরপুর গ্রামের বাবু মিয়ার কাছ থেকে ওই জমি লিজ নেন চাষি আব্দুর রাজ্জাক। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত সে ওই জমি চাষ করে আসছে।
গত মঙ্গলবার সকালে আব্দুর রাজ্জাক জমিতে গিয়ে দেখে তাঁর জমিতে চাষ করছেন পাশের গ্রামে রবি। বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, বাবু তাঁর কাছে লিজ দিয়েছেন। একারনে চাষ করছেন।
তারা বলেন,ওই জমির লিজের টাকা আব্দুর রাজ্জাক প্রতি বছর পরিশোধ করে থাকেন। এ বছর এখনো লিজের টাকা দেয়ার সময়ও হয়নি। এ ছাড়া ওই চাষিকে কিছু না বলে
হঠাৎ করে চষে দেয়ায় প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে তাঁর। আমরা ওই চাষির ক্ষতিপূরন দাবি করছি। এ ছাড়া দোষিদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। চাষী আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমার কোন নিজস্ব জমি জায়গা নাই।
পরের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে সংসার চলে। এ জমি গেল ৫ বছর যাবৎ চতুরপুর গ্রামের বাবু মিয়ার কাছ থেকে লিজ গ্রহন করি। প্রতি বছর ২৫ হাজার টাকা লিজের দেয়া হয়। তিনি বলেন, এ জমি চাষ করতে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
আর এ সবজি বিক্রি করলে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হত তাঁর। জমির মালিক আমাকে কিছু না জানিয়ে চষে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রবি মিয়া জানান,বাবু মিয়া আমার ফুপাতো ভাই। সে আমাকে ওই জমির লিজ দিয়েছেন। এছাড়া ওই জমির লিজের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই।
বিষয়টি আব্দুর রাজ্জাককে জানালেও ,সে গুরুত্ব না দিয়ে আবারও চাষ করেছেন সবজি। এ কারনে ফসল ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার সাবদারপুর কাম্পের সহকারি উপপরিদর্শক প্রকাশ কুমার জানান, রবির বাসায় আমি গিয়ে ছিলাম। তাকে বাসায় না পেয়ে, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন, জমির লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ,জমি আমরা চাষ করেছি।