বিএপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল বলেছেন, বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাই তাকে কারাবন্দি করে রেখেছে। এই সরকারের আমলে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নই। তাই তিনি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি করেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা বিএনপি দলিও কার্যালয়ে সামনে অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার জনগণের সাথে না পেরে পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করাচ্ছে। অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করার জন্য বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। রাজপথে নামতে বাধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাধারন মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে আমরা রাজ পথে থাকবো হামলা মামলা দিয়ে আমাদের দাবিয়ে রাখা যাবেনা। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর সঞ্চালন।
অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু বকর বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর সভার মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন খোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, জেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা সাইদ, জেলা বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফারুকুল আলম শেখা, জেলা বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর খান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা টিপু, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠানিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান খান মুকুল, সদস্য সচিব মাহফুজ আলম মামুন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ তুফান, সদস্য সচিব সেলিম রেজা মধু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সিদ্দিক, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, পৌর কৃষক দলে আহ্বায়ক ফিরোজ উদ্দিন মানিক, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক নাছির উদ্দীন লিয়ন, সদস্য সচিব হুমায়ূন কবির হিরা,পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক সাজিদ আহমদ নিশু, পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব ফজলে রাব্বি প্রমুখ। সে সময় উপজেলা বিএনপি,পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্র দল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি শেষে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।