আইন অমান্য করে বিবাদমান জমি থেকে গাছ কাটা ও সীমানা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে। তিনি কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে জিডি করে আদালতে পাঠানো হবে,অনুমতি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বললেন,থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামন।
ভুক্তভোগী জালাল উদ্দীন বলেন,বিবাদী হাসানুজ্জামান আমার অজান্তে বোন আলোমতির কাছ থেকে দুইশতক জমি কিনে রেজিষ্ট্রি করে নেন। এরপর ঘটনা আমি জানার পর আইন মোতাবেক হক সেবা করি। আদালত হক সেবার রায় আমার পক্ষে দেন। সে মোতাবেক আমি ওই জমিতে টয়লেট নির্মান করছিলাম। তারা কাজ বন্ধ করে দেন।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আফিল করেন। ওই আফিলের রায় এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষই পাননি। এরমধ্যে হাসানুজ্জামান সহ ৪০/৪৫ জন এসে ওই বিবাদমান জমিতে থাকা গাছ কেটে দিয়েছেন। নির্মান করেছেন স্থাপনা।
বিষয়টি বিবাদি হাসানুজ্জামান বলেন, ভাই আমার নিজের জমি। আমি জালাল উদ্দীনের বোনের কাছ থেকে জমিটি কিনে ছিলাম। পরে তারা জমিটি হক সেবা করেন। সেই মামলা চলমান রয়েছে। এখনও কোন কিছু হয়নি।
তিনি বলেন, জমিিট এতদিন পড়েছিল। দখল করি নাই। তারা আমার জমির উপর বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। এ জন্য সম্প্রতি জমিটি দখলে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া আমার কাছে ওই জমির দলিল, নামপত্তন সব কাগজ আছে। তারা মামলায় জমি পেলে,তখন আমি ওনাদের ছেড়ে দিব। মামলা চলমান অবস্থায় সীমানা প্রাচীর করতে পারেন কি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,কেন পারবো না অবশ্যই পারি। আমার জমির গাছ আমি কেটেছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন, আইন অমান্য করে গাছ কাটা ও প্রাচীর নির্মান করার ঘটনায় থানায় একটা জিডি হয়েছে। জিডিটি আদালতের অনুমতি প্রাপ্তির জন্য পাঠানো হবে। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।