গলায় দড়ি দিয়ে সবুরা খাতুন (৬৩) নামের মধ্য বয়সি এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী।
জানা যায়,সবুরা খাতুন (৬৩)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী। সোমবার সকালে ঘরের আড়ার বাশের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দেন। পরে তাঁর স্বজনরা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী মৃত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে মৃতের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন,আমার মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন। কোমরের যন্ত্রণায় প্রায় সময় ছটফট করতেন। আমি জানতাম মা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ জন্য আমি দুই বছর যাবৎ পাহারা দিয়ে রাখতাম। এ দুই বছরের একদিনও আমি রাতে ঘুমাইনি। আজ আমরা যখন সবাই খেতে খামারে কাজে চলে গেছি,ঠিক সে সময় আমার থাকা ঘরের পাশের একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেন। আমরা যখন দেখতে পেয়েছি, সে সময় আমার মা আর নাই। আমি পাহারা দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারলাম না।
তিনি বলেন,আমার মা যে অসুস্থ্য ছিল, তাঁর সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। মাকে অনেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছি,মাঝার ব্যাথার জন্য।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানাধীন তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বলেন, এটা নিছক আত্মহত্যার ঘটনা। ময়না তদন্তের জন্য মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে কোমরের ব্যাথায় ভূগছিলেন। জ্বালা সইতে না পেরে গলায় রশি দিয়েছেন।