ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর রেল স্টেশনে মালবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইঞ্জিনসহ ৫ টি তেলবাহী ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়।
গত মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার সাফদারপুর ট্রেন স্টেশনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।
সাফদাপুর রেলস্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা নওয়াপাড়া গামী পাথর বোঝায় একটি মালবাহী ট্রেন সাফদাপুর রেল স্টেশনে অবস্থান করছিল। এসময় বিপরীত দিক খুলনা থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুর গামী কেপি ২১ আর ট্রেনটি আউটার হুম সীগনাল অমান্য করে লুক লাইনে প্রবেশ করে। এবং স্টেশনে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও একটি ট্রেনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিপুল পরিমাণ তেল মাটিতে পড়ে যায়।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সকাল ৬ টার দিকে ঈশ্বরদি থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা উদ্ধার কাজ শেষে প্রধান লাইন মেরামত ও লাইনচ্যুত হওয়া ওয়াগন উদ্ধারের পরে দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর সকাল ১১ টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় খুলনা থেকে পার্বতীপুর গামী কেপি ২১ আর ট্রেনের চালক আনিছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেল মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাড.শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোটচাঁদপুর সার্কেল) মোহাইমিনুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী সহ রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।