খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ জন ছাত্র /ছাত্রী পরিদর্শন করলেন,কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। এ সময় তারা ফিস হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের উপর করেন ব্যবহারিত ক্লাস,প্রশিক্ষন নেন হাতে -কলমে। হ্যাচারি কমপ্লেক্সে আসতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশও করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ বিভাগের ৪২ জন ছাত্র/ছাত্রী শনিবার পরিদর্শনে আসেন,কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স।
এ সময় ওই শিক্ষার্থীরা ফিস হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের উপর করেন ব্যবহারিক ক্লাস। হাতে-কলমে নেন প্রশিক্ষন। প্রশিক্ষনার্থী চৈত্রি রানী মন্ডল ও নবরিতা রায় বলেন,এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মংস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। ফিসারিজে ভর্তি হবার পর এ হ্যাচারীর গল্প শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখলাম। সব কিছু দেখে অনেক ভাল লাগলো।
এখানে এসে কি শিখলেন,এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা বলেন, এতদিন আমরা বইয়ে পড়েছি। হাতে কলমে শেখার জন্য আসলাম। এখানে এসে জানতে পারলাম, মেল আর ফিমেল মাছ চেনার উপায়। মাছ থেকে কিভাবে ডিম সংগ্রহ করতে হয়। সেই ডিম থেকে কিভাবে রেনু হয়। আর কিভাবে রেনু গুলো বাজার জাত করা হয়।
তারা বলেন, দিনশেষে আজকের দিনটা সারা জীবনের জন্য মনে রাখারও মত একটা দিন।
এ ছাড়া হ্যাচারী ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামের প্রশিক্ষন আমাদের মুগ্ধ করেছে। চোখ খুলে দিয়েছেন সামনে দিনে এগিয়ে যাবার।
শিক্ষার্থী আরো বলেন,আমরা আরো বেশি খুশি হয়েছি, আশরাফুল ইসলাম কে দেখে। কারন তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ওনাকে এ পর্যায় দেখে ফিসারিজে পড়ার আগ্রহটা আরো বেড়ে গেছে আমাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর খন্দকার আনিসুল হক,সহযোগী অধ্যাপক শাহিন পারভেজ, কোটচাঁদপুর হ্যাচারী কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষক কর্মকর্তা রবিউল আওয়াল মন্ডল, কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম।