তীব্র শীত ও ঠান্ডায় রোগী বেড়েছে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসাধীন ৮২ রোগীর মধ্যে ৪৬ জনই শিশু। শনিবার সকালে এ চিত্র দেখা যায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৫০ টি। রোগী ভর্তি রয়েছে ৮২ টি। যার বেশির ভাগ রোগীই শিশু। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সেবিকা ও সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার সকালে কমপ্লেক্সে স্বজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে রোগী কিছুটা কম থাকলেও, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ড ছিল রোগিতে ভরা। বেড না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। তারা বলছেন,বড না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নেওয়ায় আরো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রত বেড বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আব্দুল্লার পিতা আলামিন বলেন,গেল দুই দিন যাবৎ আমার বাচ্চা নিয়ে ভর্তি আছি। মূলত ঠান্ডা জ্বর নিয়ে ভর্তি করেছিলাম বাচ্চাকে।
শিশু মুশফিকুরের মা রিক্তা বলেন,পাতলা খানা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ছিলাম। এখন আপাতত ভালো আছে বাচ্চাটি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা তোরানিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিদিন বমি,পাতলা পায়খানা ও জ্বর নিয়ে বাচ্চা ভর্তি হচ্ছে। এবারের ঠান্ডায় আগের তুলনায় রোগি খুব বেশি। আমরা নাজেহাল হয়ে যাচ্ছি চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে। এরপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফসান রহমান বলেন, শিশুরা মূলত ঠান্ডা জনিত কারণে, জ্বর,বমি,শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া বড় রোগীরাও পেটে ব্যাথা,পাতলা পায়খানা ও জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের অনেকে ভর্তি হচ্ছেন। আবার কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন,আগে থেকেই এ কমপ্লেক্সে শিশু রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। এরপর গেল কয়েকদিনের ঠান্ডা তীব্র ঠান্ডায় বড়,ছোট সবাই আক্রান্ত হচ্ছে, পেটে ব্যাথা,জ্বর ও বমিতে।
তিনি বলেন, এ সব রোগীদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে মোট ৮২ জন রোগী। এরমধ্যে শিশুই ৪৬ জন।আর বাকি ৩৬ জন বড় রোগী।