কোর্ট মসজিদ মার্কেটে অবস্থিত দোকান ঘর ভাঙ্গা, ব্যবসায়ীদের নির্যাতন এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রতিবাদে এবং চলমান আন্দোলন ও পরবর্তীতে কর্মসূচীগুলো গ্রহণের লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা যৌথবাজার ব্যবসায়ী সমিতি প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে মেহেরপুর জেলা হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নিজ কার্যালয়ে এ প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস বিফ্রিং এ বক্তব্য রাখেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ও বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু।
এসময় তিনি বলেন, ২০০৬ সালে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ কমিটিকে ২৫ টি দোকান বাবদ ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় যার রশিদ সহ সমস্ত প্রমাণ আছে তাই কোন ভাবেই এগুলো অবৈধ দোকান হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যার ঘর নাই তাকে ঘর তৈরি করে দেওয়া কিন্তু মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা ঘরছাড়া হলেন। তারা বলছেন অবৈধ দোকান কিন্তু জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ভাড়ার নোটিশ প্রদান এটি বিবেচনার বিষয়।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের মোট ক্ষতি আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। এত ক্ষতি করাই অবিলম্বে আমরা এসিল্যান্ডের অপসরণ চাচ্ছি। আমাদের বর্তমান আন্দোলন ১২ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমাদের পাঁচ দিনের যে কর্মসূচি ছিলো তাতে যদি কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হয় তাহলে ১২ তারিখ রাতে জেলার সকল ব্যবসায় সমিতি আলোচনা করে ১ দফা আন্দোলনে আমরা যেতে বাধ্য হব। যেটি হবে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান, সহ সভাপতি মমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল সিমন, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকন, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াপদা মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এম. এ কুদ্দুস, সহ-সভাপতি আশিকুর রবিন, কাথুলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ সাহেব আলী, সহ-সভাপতি তোফাজ্জেল, গাংনী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ সাহাব্বুরর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক আবু হোসেন কাঁকন, নির্বাহী সদস্য মোঃ রাশেদ খান, কামরুজ্জামান পলাশ, মোঃ বিল্লাল হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মেহেরপুর জেলা মডেল মসজিদের শ্রীবৃদ্ধি ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে গত মঙ্গলবার মেহেরপুর কোর্ট মসজিদ মার্কেট ভবন উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন।