এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে ২০২০ আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর। অর্থাৎ আইপিএলে ফের বিরাট স্বপ্নভঙ। ১৩ বছরের ইতিহাসে এবারও ট্রফি জয়ের খরা কাটল না আরসিবি’র। টানা ৮ বছর নেতৃত্ব দিয়েও দলকে সাফল্য এনে দিতে পারলেন কোহলি। কেকেআর’র ট্রফি জয়ী সাবেক অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের মতে এবার নেতা বদলের সময় এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর জানান, ৮ বছর দীর্ঘ সময়। ৮ বছরে আরসিবি একবারও ট্রফি জিততে পারেনি। আমি বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু দলের ব্যর্থতার দায় নিতে হয় অধিনায়ককেই। সেই দায় নেওয়া উচিত কোহলিরও।
তিনি আরও বলেন, ধোনি, রোহিত, কোহলির কথা আমরা বলি। কিন্তু ধোনি তিনবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। রোহিত চারবার কাপ জিতেছে। এই কারণেই ওরা দীর্ঘ সময় ধরে একই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অশ্বিনকে আবার দেখা যাক। দু’বার নেতৃত্বে সুযোগ পেয়েও কিছু করতে পারেনি। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোহিত ও যদি সাফল্য না দিতে পারত, আমি নিশ্চিত ওকেও বাদ দেওয়া হত।
আরসিবি।র পরাজয়ের দায়ভার কোহলিকেই নিতে হবে। এমনটাই মনে করছেন গম্ভীর। তিনি বলেন, এই হারের দায় নিতে হবে। কোনও সাপোর্ট স্টাফ বা ম্যানেজমেন্ট নয়৷ দলের ব্যর্থতার দায় নিতে হয় একমাত্র নেতাকেই। সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন ক্যাপ্টেনের, তেমনই ব্যর্থতার দায়ও তাঁকেই নিতে হবে। কোহলি অভিজ্ঞতা কম নয়। দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যে কোনও দলকেই নেতৃত্ব দিতে পারে। কিন্তু ওকে রেজাল্ট দিতে হবে।
দিল্লির কাছে হারের পরেও প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জন করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। সেই সময় কোহলি জানিয়েছিলেন, ভালো ব্রান্ডের ক্রিকেট খেলার জন্যই তারা প্লে-অফে খেলার যোগ্য। কোহলির সেই মন্তব্যের রেশ টেনে দু’বার আইপিএল ট্রফি জয়ী গম্ভীর বলেন, আরসিবি-র আসলে প্লে-অফে খেলার যোগ্যতাই ছিল না। শেষ চার-পাঁচ ম্যাচ দেখলেই বোঝা যাবে। লিগে শেষ চার ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা করলেও আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছিল। তাই এলিমিনেটরেও এই হাল।
এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দেবদূত পারিক্কলের সঙ্গে বিরাটের ওপেন করা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। অ্যারন ফিঞ্চ খেলা সত্ত্বেও কোহলি ওপেন করে ব্যর্থ হন। মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। গম্ভীর এই হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, যদি ও সারা টুর্নামেন্ট জুড়েই ওপেন করত তাহলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বলার কিছু ছিল না। যদি বিরাট ওপেনই করতে চায়, তাহলে মিডল-অর্ডারে অন্য একজনকে প্রথম একাদশে রাখতে পারত। পরিকল্পনা অনুযায়ী নিলামে দল বাছা হয়৷ কিন্তু আরসিবি মানেই সেই বিরাট ও এবিডি।