গোপালগঞ্জে ক্রিকেট খেলা নিয়ে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ইটের আঘাতে সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর রাজিউর রহমান ও সংবাদকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার রাত ৯টা থেকে থেমে থেমে এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ১২টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এদিকে মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড টিয়রসেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন— সায়েম (২২), সরোয়ার (২৩), সাফিক (২০), সাখাওয়াত হোসেন (২০)।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিং করা কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূচনা হয়। মেডিকেল কলেজের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলেন। এ সময়ে মাঠের পাশ দিয়ে মেডিকেল ছাত্রীরা গেলে তাদের উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করে থাকেন। যে কারণে ওই মাঠে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। ওই নিষেধ করা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
তবে ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ের ঘটনা অস্বীকার করে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী বিজয় রঞ্জন বলেন, সন্ধ্যার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের মসজিদের পাশে ক্রিকেট খেলেন। কিন্তু মেডিকেলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এটি মেনে নিতে পারেনি। আজ রাতে সেখানে ক্রিকেট খেলছিলেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় মেডিকেলের একজন শিক্ষক আমাদের এক শিক্ষার্থীকে ডেকে ধমক দিয়ে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে মেডিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বশেমুরবিপ্রবি অজয় দেবনাথ, পিয়াল, মুরাদ, সায়েমকে মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা এলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে আমাদের অন্তত ১৫ জন আহত হন।