কুষ্টিয়ার খোকসা ওসমানপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য হায়দার আলী (৫০) প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে খোকসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওসমানপুর ইউনিয়নের দেবিনগর পৌঁছালে প্রতিপক্ষের গুলিতে তিনি আহত হন।
পরে পুলিশ পাহারায় তাকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদরে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যের ছেলে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খোকসা থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেন।
এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
আহত ইউপি সদস্য হায়দার আলী জানান, খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে অংশ না নেওয়ার জন্য আনিসুর রহমানের লোকজন আগে থেকেই এলাকার সবাইকে নিষেধ করে আসছিলো।
তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে লোকজন নিয়ে বুধবার বিকালে তিনি খোকসা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় যোগ দেন। জনসভা শেষ করে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে দেবিনগরে পৌঁছালে প্রতিপক্ষরা তাকে লক্ষ্য করে ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
এসময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি আরো জানান রাতেই হামলাকারীরা তার সমর্থক রশিদ ও রেজাউলের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদুজ্জামান জানান, হায়দারের পায়ে বন্দুকের গুলির অসংখ্য স্প্লিন্টার ঢুকে আছে, যা অপারেশন ছাড়া বের করা অসম্ভব। তাই তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়েছে। খোকসা থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ইউপি সদস্য হায়দার আলীর ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছন। সেই মামলার প্রধান আসামি সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।