বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে গরুপাচারের মূলহোতা ভারতীয় নাগরিক এনামুল হককে দিল্লিতে গ্রেফতার করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার করে আসছিলেন তিনি। খবর আনন্দবাজারের।
এনামুল হক নামের ওই ব্যবসায়ী মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ গরুপাচার সিন্ডিকেটের ‘মূলহোতা’ এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, ঘুষ মামলায় গ্রেফতার বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জিবু ডি ম্যাথিউয়ের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে এনামুল হক এবং তার গরু পাচার সিন্ডিকেটের কথা জানতে পারে সিবিআই। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে গবাদি পশু পাচারে সহায়তার বিনিময়ে এনামুলের সিন্ডিকেটের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেয়েছিলেন জিবু।
তাকে জেরা করেই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, জিবু ছাড়াও মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে কর্মরত একাধিক বিএসএফ কর্মকর্তা এবং বিএসএফ-এর দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা এনামুলের পাচার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন।
সেই সূত্র ধরেই গত সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই কলকাতা শাখা কার্যালয়ে গবাদি পশু পাচার বিষয়ে আলাদা একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করে। তল্লাশি চালানো হয় সতীশ কুমার নামে এক বিএসএফ কর্মকর্তার কলকাতার বাড়িতে।
মামলাটিতে সতীশ ছাড়াও অভিযুক্ত করা হয়েছে এনামুল হক, সতীশের ছেলে এবং এনামুলের কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে। সতীশের বাড়ির পাশাপাশি ওই দিন এনামুলের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।
এনামুলকে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে সোপর্দ করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।