পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চার সহদোর ভাইকে দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র ও লাঠি শোঠা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। রোজা থেকে ইফতারি করার প্রস্তুতিকালে বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে নির্বিঘ্নে তারা চলে যায়।
আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ইফতারীর পূর্ব মূহূর্তে গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব পুকুর পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আসাদুজ্জামান ওরফে বিষু (৪০) ও মফিজ রানা (৪৫) গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হৃদয় হোসেন (২২) ও মেহেদী হাসান (৩৫) প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মফিজ রানার মাথায় ২০ ও আসাদুজ্জামানের মাথায় ১২ টি সেলাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফসির মখলেছুর রহমান।
হামলাকারিরা হলেন, একই গ্রামের প্রভাবশালী বাবলু হোসেন তার ছেলে আছিরুল ইসলাম, আত্তারুল ইসলাম ও আনছার আলীসহ তাদের লোকজন।
আহতদের বাবা রেজাউল হক জানান, কয়েক বছর আগে বাবলু হোসেনের সাথে বাড়ির পথকে কেন্দ্র করে একটি গন্ডগোল হয়েছিলো। সে ঘটনার জের ধরে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে হৃদয় হোসেন গ্রামের একটি মাচালে বসে ছিলো।
বাবলু হোসেনর ছেলে আছিরুল এসে আমার ছেলে হৃদয়ের শার্টের কলার ধরে চড় থাপ্পড় মারে। আমরা আমাদের ছেলে হৃদয়কে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশ থেকে পচিশ জন সস্বস্ত্র লোকজন অমাদের বাড়ির উপর এসে সবাইকে মারপিট করে। এসময় আমরা ঠেকাতে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় ওই সব লোকজনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিক আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। পরে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছান।