মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে কারখানা চালু করে বিএসটিআই থেকে একটি পণ্যের অনুমোদন নিয়ে তৈরী করছেন ১৭টি পণ্য। এ অপরাধে ভোক্ত অধিকার ও সংরক্ষণ আইনে কারখানা মালিক আসাদুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশানার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাশতুরা আমিনা। দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুল ইসলাম গাংনী উপজেরার গোপালনগর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম গাংনী পৌর এলকার রাবেয়া মঞ্জিলের নিচতলা ভাড়া নিয়ে কারখানা গড়ে তোলেন। সেখানে ডিটারজেন্ট পাওডার তৈরীর জন্য বিএসটিআই অনুমোদন নিয়ে এর আড়ালে তিনি তৈরী করছেন টয়লেট ক্লিনার, গ্লাস ক্লিনার, ডিস ওয়াশ ও ফ্লোর ওয়াশসহ বিভিন্ন প্রকার ১৭টি পন্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কারখানায় অভিযান চালায়।
পরে প্রশাসনকে জানানো হলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মাসতুরা আমিনা ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারখানা মালিক আসাদুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসতুরা আমিনা বলেন, গাংনীতে অনমোদনহীন ১৭টি পণ্য তৈরীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় কারখানামলিক কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনুমোদনবিহীন উৎপাদিত পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের ওসি জুলফিকার আলী ও গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম উপস্থিত ছিলেন।