আকতারুজ্জামাান,গাংনী-
রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম স্বাভাবিক থাকলেও ইফতারী পণ্যের বাজার এখন লাগামহীণ ঘোড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইফতারী পণ্যের দাম বেড়েছে তিনগুণ। বিশেষ করে বেগুণ, শসা, ধনে পাতাসহ অন্যান্য পণ্যেরও দাম বেড়েছে। স্থানীয় খুচরা বিক্রেতা ও সবজি চাষিরা পরিকল্পিতভাবে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতা সাধারণ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ও অসাধু ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে দাবী করা হয়েছে।
সরেজমিনে গাংনী কাঁচা বাজার, বামন্দি, রায়পুর, হেমায়েতপুর, সিন্দুর কৌটা বাজর ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহ আগে বেগুনের দাম ছিল ১২ টাকা কেজি সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০/৭৫ টাকায়। শসা পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। অথচ দশ দিন আগেও শসা ছিল মাত্র ১৫ টাকা কেজি। ১০ দিন আগে তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। বর্তমানে সেই তরমুজ ৪০/৪২ টাকা কেজি। আনারস বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। এক কেজি পেয়ারার দাম ৭৫ টাকা।
বামন্দি বাজারের আড়ৎদার আব্দাল হক জানান, পাইকারী বাজারে বেগুন, শসার দাম বেড়েছে। সেভাবেই খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছে। রমজানকে পুঁজি করেই অনেক খুচরা ব্যবসায়ি ও ইফতারী বিক্রেতা কৌশলে দাম বাড়িয়েছে। একই কথা জানালেন গাংনী কাঁচা বাজারের আড়ৎদাররা।
বামন্দি বাজারের পেঁয়াজু বিক্রেতা হান্নান জানান, কয়েকদিন আগেও এক পিস বেগুনি বিক্রি হতো ৪ টাকায় অথচ বেগুনের দাম বেড়ে যাওয়া
ভুক্তভোগিদের মতে, বাজার মনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকা ও নজরদারী না থাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ জরুরী।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, লকডাউনের কারণে প্রশাসনের লোকজন ব্যস্ত থাকায় ও পণ্যের সরবরাহের কমতির ঘাটতির অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনও বেশ তৎপর রয়েছে।