বিশ্ব যখন কোন এক নিরবচ্ছিন্ন ভয়ালযুদ্ধের ঘাতক করোনা নামক প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়াল থাবায় মহামারী রুপে জরাগ্রস্থ। তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এর প্রকোপ কিঞ্চিৎ কম হলেও কম হয়নি গৃহবন্দী, কর্মহীন, গরীব, দুঃখি, অসহায় মানুষের খাদ্যের অভাব।
এই সময় ইয়ূথদের উদ্যোগ ও বিত্তশালী মানুষদের আর্থিক সহযোগিতায় ২৫০ টি পরিবারের মধ্যে রাতের আধারে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন বলেন, কোন পারমানবিক মারণাস্ত্র নয়, হানাহানি নয়, খুনোখুনি নয় তবুও যেন সারা বিশ্ব আজ থমকে গেছে হার মেনেছে কোন এক কালজয়ী ভয়ংকর নিরব যুদ্ধের কাছে। যেখানে না আছে কোন বিনিময়, না আছে কোন আঁতাত, না আছে কোন ঘুষ আর না আছে কোন প্রতিষেধক। সেখানে ইয়ূথ লিডার দের এমন মহান উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসানীয়।
সাহারবাটি ইউনিয়নের ইয়ূথের সমন্বয়কারী জানান, বিশ্বব্যাপি খাদ্যের অভাব চরম পর্যায়ে পৌছেছে। বিশেষ করে যারা গৃহবন্দী, কর্মহীন, দিন এনে দিন খায়, দিন মজুর, অসহায়, গরীব, দুঃখী আর ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের অবস্থা খুবই ক্ষীণ। যার ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাতেই অনেক মানুষ না খেয়ে খুব কষ্টের মধ্যে সংকটাপন্ন দিন যাপন করছে। এমন সময় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করি।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী আজিবার রহমান জানান, জাতীয় এই ক্রান্তিলগ্নে থেমে নেই সাহারবাটি ইউনিয়নের এক ঝাঁক নিরন্তর সংগ্রামী স্বেচ্ছাসেবক।
এমন প্রতিকূলতায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে বদ্ধ পরিকর সাহারবাটি ইউনিয়নের একদল স্বেচ্ছাসেবক। যারা নিজ নিজ গ্রামের বিত্তবানদের কাছ হতে চাঁদা, চাল, ডাল, পেয়াজ, আলু ইত্যাদি পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করছে।
তবে দৃঢ় মনোবল, স্বদিচ্ছা আর অদম্য স্পৃহা থাকলে জটিল ও কঠিন মূহুর্তগুলো পাড়ি দেওয়া সম্ভব। আর সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন সাহারবাটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ।
এই কাজটা চলমান রাখতে বদ্ধ পরিকর ইয়ুথ সদস্যরা।