আর কদিন পরেই মুসলিম উম্মার সবচেয়ে খুশি ও আনন্দের উৎসব ঈদুল ফিতর। এদিনটি পালনের জন্য সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনা কাটায়। বছরের অন্যান্য দিনগুলিতে তেমন কিছুৃ কেনা হয় না।
তবে উৎসবকে ঘিরে সকলেই কোন না কোন পোশাক কিনে থাকেন। আর পোশাক কেনার জন্য সকলেই ভীড় জমাচ্ছে বিভিন্ন বিপনি বিতান গুলোতে। বেচা বিক্রিও বেড়েছে। তবে তরুণীদের পছন্দ কাঁচা বাদাম আর পুষ্পা।
এবারে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম ও ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের নায়িকা পুষ্পার নামেই এ পোশাক। তবে প্রশাসনিক নজরদারী না থাকায় এবং তরুণ তরুণীদের ভীড় দেখে অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন দোকানীরা।
গাংনীর সাদ্দাম ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী জানান, এবারকার ঈদের বাজারে যে পোশাকটির চাহিদা আছে সেটি হচ্ছে কাঁচা বাদাম আর পুষ্পা। বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায়।
তাছাড়া বিভিন্ন বয়সী নারীদেরও পছন্দের তালিকায় আছে সালোয়ার কামিজ। ঋতু অনুযায়ী আরামদায়ক আর সময়ের বিবেচনায় আধুনিক নকশার সালোয়ার-কামিজ তাদের পছন্দ। লম্বা কামিজের সঙ্গে চুড়িদার পায়জামা, মাঝামাঝি কামিজের সঙ্গে চোস্ত পায়জামা এবং ছোট কামিজের সঙ্গে ঢোলা পায়জামা হালের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে লম্বা কামিজই খুঁজে নিচ্ছেন অনেক তরুণী।
এসএসম প্লাজার তুহিন ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী ইনামুল হক জানান, এ বছর নতুন আসা সালোয়ার-কামিজগুলোর মধ্যে আরো আছে- ছানছান, নিধি, মানভি, মালালা, বীরজারা, ক্যাটরিনা-টু, লিসা স্টাইলসহ বাহারি নামের পোশাক। কাজ ভেদে এসব পোশাকের দাম পড়ছে আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা।
আরো বেশি দামের পোশাকও আছে। ভারতীয় কাপড়ে জরি, সুতা, পুঁথি, চুমকি, কুন্দন ইত্যাদি দিয়ে নকশা করা সালোয়ার-কামিজের চাহিদাও আছে বেশ।
নওদাপাড়া থেকে আসা তরুণী মিষ্টি ও রচনা জানান, তারা পাথর খচিত কামিজ কিনেছেন। সেই সাথে কিনেছে নকশা করা সালোয়ার। অবশ্য দাম একটু বেশি। গেল বছর এই ধরণের পোশাকের দাম ছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। এবার তার দাম নিয়েছে চার হাজার টাকা।
একই কথা জানালেন, ধলা থেকে আসা কলেজছাত্রি রক্তিমা। তিনি কিনেছেন চুৃমকি বসানো মানভি পোশাক। গুণগত মান একই অথচ গেল বছরের চেয়ে এবছর একটু দাম বেশি। বাজার মনিটরিংয়ে প্রশাসনের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক বলেন, বাজার তদারকি না থাকায় ঈদ বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নিত্য পণ্য যে যার ইচ্ছে মাফিক দরে বিক্রি করছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও নেই। প্রশাসনের এই নির্লিপ্ততার কারণে ক্রেতা সাধারণ অসহায় হয়ে পড়েছে।