মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামে দুই ডাব চুরির অপরাধে লিমন হোসেন (১৬) ও বকুল হোসেন (১৬) নামের দুই কিশোরকে আটকের জের ধরে সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলী (৭০) ও তার স্ত্রী মহাসিনা বেগমকে (৬৫) মারধর করেছে। শুধু মারধরই নয়, পুরো পরিবারকে অবরোধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ৯৯৯ কল দিলে গাংনী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলিমুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত লিমন ও বকুলকে নিয়ে আসেন। পরে অজ্ঞাত কারনে ওই রাতেই তাদের ছেড়ে দেন। ছাড়া পাবার পর গৃহকর্তা জাফর, তার স্ত্রী মহাসিনা বেগমকে মারধর ও বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা চালাই।
গৃহকর্তা জাফর জানান, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বাবুর ছেলে লিমন হোসেন ও আতাউল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন গত রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ওই বাড়ির প্রাচীর টপকে ডাব চুরি করে।
এসময় প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক, জাকির হোসেন, মিজানসহ অন্যান্যরা তাদের দেখে ফেলেন। এসময় কিশোর লিমন হোসেন ও বকুল হোসেনকে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে লিমনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ও বকুল হোসেনের পিতা আতাউল ইসলাম ওই বাড়িতে প্রবেশ করে নানাভাবে হুমকী ধামকী দেন। এছাড়া গৃহকর্তা জাফরকে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এছাড়া হ্যামার দিয়ে ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে গাংনী থানার এসআই আলিমুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত দুজনকে হেফাজতে নেন। এসআই আলিমুল অভিযুক্তদের থানায় না নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন আহম্মেদের হাতে জিম্মায় রাখেন। যখন চাইবে তখন উপস্থিত করবে এই শর্ত।
আজ সোমবার সকালে জাফরের স্ত্রী মহাসিনা বেগম পাড়ার একটি দোকানো কিছু বাজার করতে গেলে লিমনের মা লতা খাতুন ও তার শাশুড়ি আমপারা খাতুন তাকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ কেরেন তিনি। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, জাফরের পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়ির বাইরে যেতে দেবেনা বলেও হুমকী ধামকি দিচ্ছেন লিমনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার এসআই আলিমুল জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে সকালে থানায় এসে লিখিত দেওয়ার করা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা দেইনি। আমরা এইজন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হলে তো ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ থাকতে হবে।