গাংনী উপজেলা শহরের চালপট্টির মোসার্স হাফিজুর ট্রেডার্স এর গুদাম থেকে ৩ মেট্রিক টন ১৫০ কেজি সরকারী চাল জব্দ করেছে গাংনী উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম গোপন সংবাদের ভিত্ত্বিতে চাল পট্টির খুচরা চাল ব্যবসায়ী মেসার্স হাফিজুল ট্রেডার্সের গোডাউন থেকে ৫০ কেজি ওজনের এই ৬৩ বস্তা চাউল জব্দ করেন।
চাল জব্দের বিষয় সহকারী কমিশনার (ভূমি)নাজমুল আলম বলেছেন, বাজার থেকে ৬৩ বস্তা সরকারী চাউল জব্দ করা হয়েছে।
আগামীকাল এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ও দোকানদার বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবে কালো বাজারে সরকারী চাল বিক্রি হতে পারেনা বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন এসিল্যান্ড নাজমুল আলম।
গাংনী বাজারের চাউল ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম জানান, আমি খাদ্য গুদামের ডিও লেটার দেখেই চাউল কিনেছি। এসময় তিনি একটি ডিও লেটারও প্রদর্শন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাজারের স্থানীয় চাউল ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল গাংনী খাদ্য গোডাউনের কয়েকজন শ্রমিক বাজারের চালের আড়ৎদারদের কাছে দাম জিজ্ঞেস করে গেছেন।
পরে ওই খাদ্য গুদাম কর্মচারীরা ভ্যানে করে চাল নিয়ে এসে মেসার্স হাফিজুল ইসলাম ট্রেডাার্সের মালিক চাল ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলামের কাছে চাল বিক্রি করে যান।
এব্যাপারে গাংনী খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হাসান সাব্বীর জানান, খাদ্য গুদাম থেকে প্রতিদিনই কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখা) সহ ভিজিএফ, ভিজিডির চাল ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
কে কখন সে চাল নিয়ে গিয়ে কোথায় কি করছেন এগুলো আমার জানার কথা নয়। এটা কাবিখা প্রকল্পের চাল কোনো কাজের পিআইসি বিক্রি করে গেছে এটা আমি জানিনা।