ফরিদপুর মধুখালী থেকে কৌশলে চুরি যাওয়া ২৫২ মন পাটসহ একটি ট্রাক গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় জব্দ করেছে মধুখালী থানা পুলিশ।
গতকাল রোববার বিকেলে মধুখালী থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স গাংনীর বালিয়াঘাটের একটি গুদাম থেকে পাট জব্দ করেন।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে- হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে সুজন ও একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে কালাম।
পাটের স্বত্তাধিকারী মধুখালীর আসাদুজ্জামান জানান, তিনি বগুড়া মোকামতলা পাইকার জুট মিলে ২৫২ মন পাট বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি ট্রাক লোড দেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ট- ১৮-৩০৪৭। ট্রাকের মালিক বালিয়াঘাট গ্রামের নব মুসলিম কাউছার আলী। তিনি নিজেই চালক ছিলেন। ট্রাকটি গত ৯ সেপ্টেম্বর বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ১১ তারিখ পর্যন্ত ট্রাকটি জুটমিলে না পৌছানোর ফলে তিনি মধুখালী থানায় কাউছারসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা গ্রহণ সাপেক্ষে পুলিশ পাট বোঝাই ট্রাক ও চালকের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। ট্রাক মালিক ও চালক কাউছার পালিয়ে গেলেও তার দুজন ব্যবসায়ীক পার্টনার সুজন ও কালাম ধরা পড়ে। সেই সাথে জব্দ করা হয় ট্রাক ও পাট।
অভিযানে আসা এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, সুচতুর কাউছার ট্রাক নিয়ে পালিয়ে আসার পর ট্রাকের সামনে কাঁচ ও অন্যান্য অংশ খুলে ফেলে যাতে কেউ ট্রাকটিকে সনাক্ত করতে না পারে। সে ওই গুদামটি ভাড়া নেয় এবং স্থানীয়দের কাছে প্রচার করেন যে তিনি পাট কিনে এনেছেন বিক্রি করবেন।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু পাটও বিক্রি করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অবশিষ্ট পাট উদ্ধার করা হবে।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত দুজনের পরিবারের দাবী, এরা পাট ব্যবসায়ী এবং কাউছারের কাছ থেকে পাট কিনেছেন। তারা চোর না। স্থানীয় লোকজনও একই কথা জানিয়ে তাদেরকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করেন।
মধুখালী থানার ওসি আমিনুল হক জানান, মামলায় কাউছার আলীকে সহ ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বাকিদেও কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে খুঁজে বের করা হচ্ছে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতাকে।
গাংনী থানা ইনর্চাজ ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, মধুখালী থেকে একজন ড্রাইভার কৌশুলে পাট চুরি করে নিয়ে আসে। মধুখালী থানা অফিসার ইনর্চাজ বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে আলাপ করলে তাদের অভিযানে গাংনী থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করে।