মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গ্রামের মোল্লাপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, তেঁতুলবাড়ীয়া মোল্লাপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০), সুমন হোসেন (৩৪), কাফিরুল ইসলাম(৩৫), বুদু হোসেন(৪৬), নাজিম উদ্দিনি(৩৫), সামসুল হক (৫৮), আজিজুল হক( ৪৫), হাফিজুল (৫০), কাউছার আলী (৩৭), পাতান আলী (৪৫), সোহেল (১৯) । আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কাফিরুল , বুদু ও সামসুলের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহত কাফিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ তাদের ক্রয়কৃত ৬৭ শতক শরীকানা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তাদের মধ্যে। জমি রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জবরদখল করে রাখে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় আমরা গত সোমবার গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে গাংনী থানা পুলিশ উভয় পক্ষের কাগজ পত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দেয়। পরে প্রতিপক্ষরা এক মাসের মধ্যে জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে তারা চাষ করতে গেলে আমরা বাধাঁ দিই। এসময় তাদের লোকজনের মধ্যে তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের হজরত আলীর নেতৃত্বে সোনা, মঙ্গল, সোনাতন আলীর ছেলে আজগর আলী, তাহের আলী, মহন আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম, মৃত জানবার আলীর ছেলে ভাদু, পাতান আলী, মনোরদ্দিন রামদা, লাঠি সোটা নিয়ে জবর দখল করতে যায়। কথাকাটির এক পর্যায়ে হজরত আলীর দলবল বাড়ীতে হামলা চালায়।
তবে অভিযুক্ত হযরত আলীর লোকজন অন্যত্র চিকি]সা নেওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।