বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় আবুল হোসেন ওরফে তোকাদ্দেস (৫৫) নামের একজনকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আবুল হোসেন ওরফে তোকাদ্দেসকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তোকাদ্দেস মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার শরিয়ত মন্ডলের ছেলে।
আহত সুত্রে প্রকাশ, দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে গ্রামের আনছার আলীর ছেলেদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গ্রামে ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আনছার আলীর ছেলেরা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতী জানায়। সম্প্রতি ওই জমিতে আনছার আলীর ছেলে জাহাঙ্গির ও আলমগীর পাঁকা ঘর নির্মাণ শুরু করে। এনিয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
গেল রোববার জাহাঙ্গির ও তার লোকজন আবারো ঘর নির্মাণ শুরু করে। আবুল হোসেন এ কাজ করতে নিষেধ করে। এতে রাগান্বিত হয়ে জাহাঙ্গির আলমগীরসহ ৮/১০ জন আবুল হোসেনের মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে ও বেধড়ক পিটুনী দেয়। আবুল হোসেন মারা গেছে ভেবে তারা একটি চলন্ত ভ্যান গাড়িতে তুলে দেয় বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
আবুল হোসেনের পরিবারের লোকজন দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিব জানান, এব্যাপারে আহতর ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।