মেহেরপুর গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে পাওয়ার ট্রলি প্রতিযোগিতা নিয়ে সৃষ্ট দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুই জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সাহারবাটি মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গাংনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে ।
আহতরা হলেন – ধর্মচাকী গ্রামের আরোজ উল্লাহর ছেলে রহমতুল্লাহ(২০), মৃত সাবদুলের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৫৫), জহুরুল ইসলামের দুই ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৩), সাইদুল ইসরাম (২৫), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), বুলু মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬), মাজহারুল ইসলামের ছেলে বুলু মিয়া (৪৫)। এদের মধ্যে জহুরুল ইসলামের দুই ছেলেকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন আহত ব্যক্তি জানান , সাহারবাটি গ্রামের বালির মাঠে পাওয়ার ট্রিলার ট্রলি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাহারবাটি গ্রামবাসী। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকার ৬৪ জন কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমী এ প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হয়। কার পাওয়ার ট্রিলারের কত শক্তি তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। প্রতিযোগিতার শেষের দিকে কমিটির লোকজনের সাথে ধর্মচাকী ও হিজলবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিযোগিদের বিতর্ক শুরু হয়। কমিটির কর্মকাণ্ড বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মচাকী গ্রামের প্রতিযোগিতারা। আর এতেই শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে আহত হন ওই ১০ জন।
এদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের মানুষের মধ্যে এমন সংঘর্ষে দ্বিগবিদিক ছুটতে থাকেন উৎসুক মানুষ। মঞ্চে উপস্থিত জন প্রতিনিধিরাও বিষ্মিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে সক্ষম হন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতার আয়োজন কমিটির সদস্য স্থানীয় আব্বাস আলী মেম্বার জানান,আমাদের কারো সাথে সংঘর্ষ বা মারামারি হয়নি । প্রতিযোগিতা শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার মধ্যে কে বা কারা হট্টগোল শুরু করলে আমরা যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে সকলে বাড়ি ফিরে যাই। স্থগিত হওয়া খেলাটি পুনরায় হবে বলে জানান তিনি।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জনান, এমন বিষয়ে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।