মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মিনাপাড়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার সেই নারী এবার পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন।
গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসব করেন।
মামলার বাদী ধর্ষিতা ওই নারী জানান, মিনাপাড়া গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে হাসান আলী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিনিয়ত তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করায় গর্ভবতি হয়ে পড়ি।
বিষয়টি হাসান আলীকে জানালে সে কিছু টাকা দিয়ে কোন ক্লিনিক থেকে গর্ভপাত ঘটানোর কথা বলে।
ধর্ষিতা নারীর স্বজনরা জানায়, যতোই দিন অতিবাহিত হয় ততোই তার শরীর বাড়তে থাকে। তার শারীরিক অস্থা দেখে বিষয়টি জেনে যায় পরিবারসহ প্রতিবেশী।
এমনকি গ্রামবাসিও। বিয়ের জন্য হাসান আলীকে বারবার অনুরোধ করা হলে সে বিয়েতে অপারগতা প্রকাশ করে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে হাসান আলীর নামে ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেছে। যার নং ২৪ তাং ২৫/০৬/১৯ ইং।
ধর্ষিতা নারীর মা জানায়, নবজাতকের পিতার স্বীকৃতি চায়। সন্তান প্রসব করার পর থেকে মামলার আসামী ও তার স্বজনরা সন্তান ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে আমরা আতঙ্কিত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছি।
গাংনী থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহাতাব আলী জানান, মামলার আসামী হাসানের ডিএনএ টেষ্ট করা হয়েছে।
এখন নবজাতকের ডিএনএ টেষ্ট করতে হবে। ডিএনএ টেষ্টের পর অপরাধী সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এরপর আদালতে র্চাজশীট দেয়া হবে। মামলার আসামী হাসান আলী স¤প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
-গাংনী প্রতিনিধি