গাংনী উপজেলা বিএনপির সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালের দিকে গাংনী শহরের সিনেমাহল পাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩/৪/৬ ধারা ১৫(৩)/২৫বি তৎসহ ১৯০৮ বিস্ফোরক আইনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহিদুজ্জামান শিপুর দায়ের করা নাশকতা (মামলা নং ৩২, তারিখ ২৯/১২/২২) মামলায় তাকে অজ্ঞাত নামা আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার বিকালেই আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলা শহরের পরিত্যক্ত সরকারি মৎস্য হ্যাচারি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার নামীয় এক নং আসামি গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ও গাংনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। আজকে মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মিথ্যা সাজানো মামলায় উপজেলা বিএনপি’র সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা ডাকা বিএনপির সমাবেশ বাঞ্চাল করার জন্য দেশব্যাপি বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশী তল্লাশীসহ গ্রেফতার ও সাজানো মামলা দিচ্ছে। অবিলম্বে এই সাজানো মামলা থেকে তাদের অব্যহতি দেওয়ার দাবী জানান তিনি।