কোলের দুই শিশুসহ নিখোঁজ বোনের খোঁজ নিতে গিয়ে বন জামাই ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ৯৯৯ কল পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম তালা ভেঙ্গে দুইজনকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে তারা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আজ শুক্রবার (২৮ জুন) বেলা ১২ টার সময় ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের ঈদগাহ পাড়া এলাকায়।
এঘটনায় রবিউল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন, তার মেয়ে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া বৈশাখি খাতুন ও কোলের শিশু রজণী খাতুন (৫) নিখোঁজ রয়েছেন।
আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে জহুলরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে গরু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম প্রায় ১২ বছর আগে জালশুকা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে রহিমা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রহিমা খাতুনের উপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন স্বামী রবিউল ইসলাম। পান থেকে চুন খসতেই রহিমা খাতুনের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। গতকাল দুপুর থেকে রহিমা খাতুনকে দফায় দফায় মারধরে করে আসছিলেন স্বামী রবিউল ইসলাম।
হঠাৎ আজ শুক্রবার সকালে রবিউল ইসলাম তার শশুর বাড়ি জালশুকা গ্রামে স্ত্রীকে খুজতে যান। শশুর বাড়ির লোকজনকে জানান, ভোররাত থেকে আমি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে খুজে পাচ্ছিনা। কথাগুলো বলেই সে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে বেলা ১১ টার দিকে আবারও শশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর খোঁজ করতে থাকেন। পরে জহুরুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম বোন ও কোলের দুই শিশুকে খুজতে রবিউল ইসলামের বাড়িতে আসেন। এসময় রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আশরাফুল ও জহুরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রবিউল ইসলাম ও তাদের লোকজন আশরাফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামকে মারধর করে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রাখেন। বিষয়টি ভুক্তভোগীরা পুলিশের ৯৯৯ কল দিলে গাংনী থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। এঘটনায় এখনো কেউ মামলা দেইনি। মামলা দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সীমা বিশ্বাস জানান, আহতদের শরীরে মারের দাগ রয়েছে। জহুরুল ইসলামের পায়ে ধারাল অস্ত্রের মারের ক্ষত রয়েছে। তাকে এক্সরে করতে বলা হয়েছে।