মেহেরপুরের গাংনীতে চিকিৎসা নিতে আসা নিখোঁজ ভিক্ষুক জোহরা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদের মধ্যে আনসার ভিডিপি অফিসের সামনে থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। জোহরা খাতুন গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের মৃত তাহাজ উদ্দীনের মেয়ে।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলৎপুর উপজেলার খলিশাখুন্ডি বাজার এলাকায় ভিক্ষা করতে গিয়ে পাখি ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয়। জনৈক্য এক ভ্যান চালক গাংনী রাজা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে ভ্যান চালক ও ভিক্ষুক জোহরা খাতুন নিখোঁজ হন। সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের মধ্যে থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞাত সেই ভ্যান চালক রাতের আধারে বৃদ্ধা জোহরা খাতুনের মরদেহ ফেলে রেখে যেতে পারে।
রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হযরত আলী জানান,পাখিভ্যানের ধাক্কায় জোহরা খাতুন আহত হয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে খলিশাখুন্ডি সহ পার্শবর্তী এলাকায় শুক্রবার রাত ১১ টা পর্যন্ত সন্ধান করেও তার পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের মধ্যে মরদেহ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ জানান,উপজেলা পরিষদের মধ্যে আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা মহিলার লাশ পড়ে আছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য : চিকিৎসা নিতে এসে শুক্রবার দুপুর ১ টায় রাজা ক্লিনিকের সামনে থেকে নিখোঁজ হন। জোহরা খাতুন। কুষ্টিয়া জেলার দৌলৎপুর উপজেলার খলিশাখুন্ডি বাজার এলাকায় ভিক্ষা করতে গিয়ে পাখি ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয়।