সেদিনও মকবুল সাহেব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো। সেই নির্বাচনে আমি কারোর দয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হইনি। ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের বাসভবনস্থ কার্যালয়ে নেতা কর্মীরা সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা নির্বাচনের সময়ও মিল্টনের টাকা খেয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তারা জীবনদ্দশায় কোন দিন নৌকা মার্কায় ভোট দেয়নি। সেই লোক গুলো আজ এক জায়গায় হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ৮ মাস এমপি হয়েছি সরকার একটি মাত্র বরাদ্দ দিয়েছে তা হলো টিআর কাবিখা। সেই বরাদ্দ আমি মসজিদ মাদ্রাসায় দিয়েছি। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ আমাকে সম্মান দিয়েছে। আমি অপকর্ম করলে আল্লাই আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দেবে। আমি সব সময় চেয়েছি গাংনীর মানুষ শান্তিতে থাক কিন্তু মোশাররফ খালেকের সাথে থেকে মকবুল হোসেনকে গালি দেয়। আবার মকবুলের কাছে থেকে খালেক সহ অন্য নেতাদের গালি দেয়।
কাউন্সিলকে বানচাঁল করতেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মোশাররফ স্কুল কলেজে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে লুটপাট করে গাড়ী বাড়ি বানিয়েছে। তার অপকর্ম আড়াল করতে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ৭৩ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত ঐ মকবুল হোসেনরা কোন দিন নৌকায় ভোট দেয়নি।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোন দিন শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেনি। নেতা কর্মীরা না চাইলে সভাপতি প্রার্থী হবোনা। আর নেতা কর্মীরা চাইলে আগামি ২৭ তারিখে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
এ সময় গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলাম, বামুন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা মকলেচুর রহমান মুকুল, পৌর কাউন্সিলর নবীর উদ্দীন, পৌর কাউন্সিলর আছের উদ্দীন, বামুন্দী ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুর রহমান কমল, সেচ্ছা সেবকলীগের আহবায়ক আবুল বাশার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল সহ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
-আল-আমীন,গাংনী