মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ইকুড়ি গ্রামে পথরোধ করে গাংনী ইমারত নির্মাণ শ্রমীকদের উপর হামলা করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার বিকেলে গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের ইকুড়ি নামক স্থানে ঈদগাহের সামনে এ হামলার ঘটনায় ৭জন নির্মাণ শ্রমীক আহত হয়। আহতরা সকলে গাংনী উপজেলার যুগিন্দা গ্রামের বান্দিা।
তারা হলো খাঁ পাড়ার জান মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০), মসজিদ পাড়ার মৃত নফছদ্দিনের ছেলে নছরুদ্দিন (৪৫), মৃত আফেল উদ্দিনের ছেলে ছালাম (৪৭), শেখ পাড়ার মৃত কাফিরুলের ছেলে রঞ্জু(৪২), শেখপাড়ারর মৃত এলাহি বক্স’র ছেলে হারুন (৩০),নজরুদ্দিনের ছেলে নাজমুল(১৬) ও জাফের এর ছেলে লিটন (২০)।
আহতরা জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে একটি বিল্ডিং এর ঢালাই কাজ শেষ করে সকলে ট্রলি করে বাড়ি ফিরছিলো। গাংনীর হেমায়েতপুর বাজার পার হয়ে তাদের সামনে থাকা ইকুড়ি গ্রামের রাইতাল হকের ছেলে রাজা নামের এক ব্যাক্তি বিস্কুট বিক্রয় করা একটি গাড়ি (অবৈধ আলগামন গাড়ি টিন দিয়ে ঘেরা) শ্রমীকদের গাড়ির সামনে থেকে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে আসছিল ও হঠাৎ করে বার বার ব্রেক করছিল।
এতে করে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মটোরসাইকেলও দূর্ঘটনার কবল থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও শ্রমীকদের ট্রলিটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। ফলে শ্রমীকদের কয়েকজন সামান্য আহত হয় বলে তারা জানান। এ
ঘটনায় স্থানীয়রা আলগামন চালক রাজাকে বকাঝকা করে। এতে করে সে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে বিস্কুট বিক্রেতা শ্রমীকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
নির্মাণ শ্রমীকরা কিছুক্ষণ পর গাংনীর দিকে রওনা দিলে ইকুড়ি গ্রামে ঈদগাহের সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে রাজার নেতৃত্বে আট থেকে দশ জন হাতে লাঠি সোঠা নিয়ে তাদের গতি রোধ করে অতর্কিত হামলা করে। এতে ৭জন শ্রমীক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
গাংনী ইমারত নির্মাণ শ্রমীক সমিতির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন আমাদের শ্রমীকদের উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার চাই। এ ব্যাপারে তিনি গাংনী থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেপ্র/ইএম