গাংনী প্রতিনিধিঃ
গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামে পিতার জমি জমি দখল নিতে আপন ভাই ও এক বিধবা ভাবির বাড়ির উঠার ঘিরে আবদ্ধ করা হয়েছে । ইসরাফিল হোসেন ও ফিরোজা খাতুনের বসতবাড়ির উঠান ঘেসে বাঁশের বেড়া দিয়ে তাদের আবদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করেছেন ভুক্তভোগীদের ভাইয়েরা।
জানাগেছে, হিজলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মৃত একেন আলীর ছেলে ওয়াজেল হক,ফজলুল হক,জমির হোসেন ও ইসরাফিল হোসেনসহ সাত ভাইবোন। পিতার নামীয় হিজলবাড়িয়া মৌজার ৩৪৮ নং খতিয়ানে ৮৭৩ নং দাগে ২৮ শতক জমি সাত ভাইবোনদের মধ্যে ৪ শতক করে ভাগ পান। পরে ইসরাফিল অন্য এক ভাইয়ের শরিকানা মোতাবেক ৪ শতক জমি ক্রয় করেন। ইসরাফিলের মোট জমির পরিমান হয় ৮ শতক। সে মোতাবেক ইসরাফিল দির্ঘদিন ধরে ভোগদখল করেন। ইসরাফিলের এক ভাই মারা গেলে ভাবি ফিরোজা খাতুন তার ছেলে নিয়ে স্বামীর জমিতেই বসবাস করেন। তবে ফিরোজা খাতুন মালিকানা জমিতে বসবাস না করে সরকারি রাস্তার জমি দখল করে অস্থায়ী বসতবাড়ি তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। দির্ঘদিনেও তার প্রাপ্ত জমির মালিকানা বুঝে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ফিরোজা খাতুন। এদিকে ইসরাফিলের অভিযোগ তার ভাইয়েরা তাকে শরিকানা জমি বুঝে দিচ্ছেননা বরং তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে তাকে আবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় সালিশ হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এমনই অভিযোগ বিধবা ফিরোজা খাতুনের। ফিরোজা খাতুন বলেন, আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকে আমি বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য জমি চাইছি। কিন্ত আমাকে দেয়া হয়নি উপরন্ত আমার বাড়ির উঠনের চারিদিক বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আমার ভাসুর ওয়াজেল,ফজলুসহ তার ছেলেরা। তিনি আরো বলেন,আমার স্বামী মারা গেলে অনেক কস্ট করে আমার একমাত্র ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি। আমার পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। ছোট দেবর ইসরাফিল আমার পক্ষে কথা বলায় তাক্ওে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, উভয়ের শান্তি শৃংখলার জন্য কয়েকবার সালিশ করা হলেও বিষয়টি স্বার্থ টানাটানির কারনে অমিমাংশিত রয়েছে। তাদের ভাইদের মধ্যে কেউ কাইকে ছাড় দেবার মানসিকতা না থাকায় নিষ্পত্তি হয়নি।
এবিষয়ে ওযাজেল ও ফজলু জানায়, আমাদের পিতার জমি ৪ শতক করে ভাগ হয়। পুরাতন বাড়িতে আমার একমাত্র বৃদ্ধ মা রয়েছে। কেউ আমাদের বৃদ্ধ মাকে দেখাশোনা করেনা। আমার কাছেই আমার মা থাকে। ছোট ভাই ইসরাফিলকে ৮ শতক জমি বুঝে দেয়া হয়েছে কিন্তু তার দাবী তাবে রাস্তায় পার্শ্বে সব জমি দিতে হবে। তাকে রাস্তা পার্শ্বে সব জমি দিতে গেলে আমাদের বাড়ি করার জমি থাকবেনা। তাছাড়া মৃত ভাইয়ের স্ত্রীকে তার স্বামীর ৪ শতক জমি দেয়া হয়েছে ইসরাফিলের পার্শ্বে। সে জমি তাদের পছন্দ হচ্ছেনা। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে।
গাংনী থানার ওসি বজুলর রহমান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।