পবিত্র শবে বরাতের রাতে ইমামের অনুপস্থিতিতে মসজিদে এশার নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনে রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে হিজলবাড়িয়া গ্রামের মুমরেজের ছেলে বাদশা মিয়া (৬০), সিরাজুল ইসলাম(৫০), মৃতু আব্দুর রহমানের ছেলে নবিছদ্দীন (৫০) কে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আজমাইন হোসেন পাশের গ্রামে মিলাদ পড়তে যাওয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন। যে কারনে সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুসল্লীদের মধ্যে থেকে মাহফুজ আলম নামের একজন ইমামতি করেন। নামাজ শেষে নজরুল ইসলাম নামের অপর এক মুসল্লী মসজিদের বাইরে এসে নামাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন নামাজ পড়ানো হয়নি। এনিয়ে মুসল্লীদের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয় পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন জানান, মসজিদের ইমাম সাহেব ছুটি নিয়ে পাশের গ্রামে মিলাদ পড়াতে যাওয়ায় মাহফুজ আলমকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে সমস্যা হওয়ার কথা না।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেইনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।