মেহেরপুরের গাংনীতে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবাবরদের সম্মাননা প্রদান ও মুক্তিযুদ্ধে মেহেরপুর জেলার মানুষের অবদান নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ভাটপাড়া নীলকুঠি প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এলাকাবাসী। অনুষ্ঠানে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এমলাক হোসেনের সন্তান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট কবি আলকামা সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মকলেসুর রহমান ও গাংনী উপজেলা মুক্তি বাহিনীর টিম লিডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন।
অনুষ্ঠানে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এমলাক হোসেন, উজির আলী মালিথ্যা, আবুল কাশেম, হারিস উদ্দিনসহ সাত শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমীন ধুমকেতুর সার্বিক ব্যাবস্থাপনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক খালেদুজ্জামান জুয়েল, ডা.মাহাবুবুল আলম বিপ্লব,কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভেঅকেট শফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে অন্যান্যদর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ,কাথুলী উইপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, সাহারাবটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস, গাংনী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী, মুজিবনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মুরাদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ পরিবারকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও মুক্তিযুদ্ধে মেহেরপুর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ১৯৭১ সালে মেহেরপুরে যারা পাক বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যা হয়েছেন তাদের রাস্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবীও জানান বক্তারা।