পিতা মাতার অসচেতনতা ও অবহেলায় প্রাণ গেলো স্কুল ছাত্র কিরন হোসেনের (১১)। সাপের দংশনকে পিঁপড়ায় কামড়িয়েছে মন্তব্য করে চিকিৎসা না দিয়ে ঘুম পাড়ান তারা। অবশেষে মারা গেলো শিশুটি।
কিরণ হোসেন গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজীপুর গ্রামের বর্ডারপাড়া এলাকার রহিদুল ইসলামের ছেলে ও কাজীপুর আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) ভোররাতের দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।
আর আগে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে সাপে কাটে।
পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, কিরন রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল । রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির পায়ে সাপে কামড় দেয়। সে ঘুম থেকে জেগে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানান। এটি পিঁপড়ের কামড় বলে ছেলেকে ঘুমাতে বলেন। শেষরাতের দিকে কিরনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন পরিবারের লোকজন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা কিরনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।