মেহেরপুরর গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের স্ট্যাম্প ভেন্ডার (স্ট্যাম্প সরবরাহকারি) বাহাগুন্দা গ্রামের নুর ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাকাসী।
বুধবার দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। সাবেক পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, পেীর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান শিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ মিছিলটি গাংনী বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়। পরে সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকালে প্রধান বক্তা এমএ খালেক বলেন, জাল স্ট্যাম্প বিক্রিসহ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন স্ট্যাম্প ভেন্ডার গাংনীর বাহাগুন্দা গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে নুর ইসলাম। তার এই অবৈধ অর্থ খরচ করছে বিএনপি জামাতের সাংগঠনিক কাজে।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পন্থায় মানুষ ঠকিয়ে অর্ধশত বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। শুধুমাত্র নুর ইসলামের পক্ষে কোটি টাকা উপার্জন স¤ভব হয়নি তার এই অবৈধ সম্পদের যোগান হিসেবে বড়বড় রাঘব বোয়াল ছদ্দবেশী মুখোশধারীরা নুরইসলামকে সামনে রেখে হাজার হাজার টাকা ডিফেন্স নিচ্ছে তারা আইনের আওতায় আসেনা। তাদেরকে চিহ্নত করা প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে। রাঘব বোয়ালরা পিছন থেকে কলকাঠি নাড়েন বলেই নুর ইসলামকে গোয়েন্দা বিভাগ ও প্রশাসনের চোখে পড়েনা। আজ গাংনীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বোচ্চার হয়েছেন। আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে নুর ইসলামের সকল অপকর্ম সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের নজরে আসবে।
বক্তারা আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলে নুর ইসলাম একটি হাতুড়ি বাহিনী গঠন করে সন্ত্রাসী কায়দায় অর্থ বাণিজ্যসহ তার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সেইসময় নুর ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগের অগনিত নেতাকর্মীকে হামলা মামলা দিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন করেছেন। তার এলাকার এক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইসলাম নগরের রুহুল আমীন তৎকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অক্ষম করেছে এই নুর ইসলামের হাতুড়ি বাহিনী।
আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা আর্থপেডিকস হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েও আজও সুস্থ হতে পারেনি। অথচ আজও বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে ওই নুর ইসলাম। সে মাত্র রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরি হয়ে একটি ভুয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স করে কুলি থেকে কোটিপতি হয়েছে।
স্থানীয়রা তার সকল অত্যাচার সহ্য করেও চুপ করে ছিলো, কিন্তু ওই নুর ইসলাম তার কৌশল অব্যাহত রেখেছে। তার উপার্জিত অর্থ এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে শক্তিশালী করতে খরচ করে চলেছে। এক কালের ঘুটো কুড়োনি এ কালের জহুরি হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ঠিকাদারী ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ঠিকাদারী ব্যবসায় কাজে বিভিন্ন অনিয়ম করে সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বাঁধাগ্রস্থ করছে নুর ইসলাম।
স্ট্যাম্প ভেন্ডারী ও ঠিকাদারী লাইসেন্স এ জমা প্রদানকারি সার্টিফিকেট যাচাই করার দাবি সহ গোয়েন্দা বিভাগসহ প্রশাসনিক তদন্ত ও দুদকের হস্তক্ষেপ কমনা করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে স্ট্যাম্প ভেন্ডার নুর ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি ফোন রিসিভ করে পরে কথা হবে বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।