মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় হঠাৎ বেড়েছে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ। নিউমোনিয়া,বমি ও ডায়রিয়াই আত্রান্তের সংখ্যা বেশি। বেডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই স্থান নিয়েছেন মেঝেতে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে ভর্তি হয়েছেন ২৫জন শিশু।
জানাগেছে, একসপ্তাহ যাবৎ ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারনে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ২৫জন শিশু ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯জন শিশু ডায়রিয়া ও বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। ৬জন ভর্তি হয়েছেন নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে। একই দিনে ১০জন বৃদ্ধ শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে ভর্তিকৃত রোগীরা সরকারি ভাবে ওষুধ সরবরাহ পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাংনীর বানিয়া পুকুর থেকে তাসফিয়া খাতুন ভর্তি হয়েছেন দুই বছরের শিশু ঝর্ণাকে নিয়ে। প্রথমে সর্দি জ¦র হয়। স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দিয়ে কাজ হয়নি। শুক্রবার সকালে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি হন। বেতবাড়িয়ার কুলছুম খাতুন তার শিশু নোমানকে নিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানকার ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছয়দিন আগে তার শিশুপ্রত্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
ভাটপাড়া গ্রামের তামান্না খাতুন তার শিশু পুত্র আবু জায়েদকে নিয়ে ভর্তি হন। বমি আর পাতলা পায়খানা নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিনদিন আগে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাত্র একদিন জোর জবদস্তি আর তদবির করে সিপ্রোসিন ইন্জেকশন দেয়া হয়েছে। পরে আর দেয়া হয়নি। এখন সব ওষুধ কিনতে হচ্ছে তাদের। কর্তব্যরত নার্সরা জানিয়েছেন স্টোর কিপার যে ওষুধ দিয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। যে কারনে তাদের ফার্মেসী থেকে কিনতে হচ্ছে। শুক্রবার ছুটির দিন তাই আগামীকাল ওষুধ সরবরাহ নেয়া হবে।
রোগীদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শুক্রবার সকাল থেকে আমাদের শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। একাধিক শিশুর মা জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আমরা ভর্তি হয়েছি। বেডে জায়গা হয়নি তাই মেঝতেই জায়গা নিতে হয়েছে। এমনভাবে অনেকেই মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিাসর(আর এমও) আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ তীব্র শীতের কারনে শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। একদিনেই ২৫জন শিশু শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মায়েদের সচেতন হতে হবে তাহলে শিশুরা অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে।