কাঠপোড়ানো ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মেহেরপুরের গাংনীতে পৃথক ১০টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দিনভর এ অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের একটি বিশেষ টিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদপ্ততরের ছাড়পত্র। তাছাড়া জনবহুল এলাকায় ইটভাটা প্রস্তুত ও আবাদী জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কারণে অভিযান চালানো হয়। জরিমানা করার পাশাপাশি ইটভাটার গুলোর বেশ কিছু অংশ এক্স-কাভেটর মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
এ অভিযানে পুরাতন মটমুড়া নামক স্থানে তমা ব্রিক্স এর মালিক তোফাজ্জেল হোসেনকে ৭ লাখ টাকা, এমভি জোয়ার্দ্দার ব্রিক্সের মালিক আরাফুল ইসলামকে ৬ লাখ টাকা, শুকুরকান্দির সমতা ব্রিক্সের মালিক মনিরুজ্জমান ৮ লাখ টাকা, রুপসা ব্রিক্সের মালিক আনোয়ার পারভেজকে ৭ লাখ , থ্রী স্টার ব্রিক্সের মালিক জালাল উদ্দিনকে ৪ লাখ, বস ব্রিক্সের মালিক মহম্মদপুরের সবুজকে ৪ লাখ, বেস্ট ব্রিক্স এর মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫ লাখ, এবং একতা ব্রিক্স এর মালিক মটমুড়া গ্রামের খবিরুদ্দীনকে ৬ লাখ, এবং ভিশন ব্রিক্সের মালিক সেলিম উদ্দিনকে ৭ লাখ টাকা,জনতা-আবুল হাশেমকে-৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হাসান। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জোনের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান, র্যাব-৬ এর ডিএডি শফিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ইসাহাক আলীসহ পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান জানান, অধিকাংশ ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদপ্ততরের ছাড়পত্রও। এসকল কারণে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায়সহ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইট প্রস্তুত ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ অনুযায়ি এ জরিমানা করা হয়। অবৈধ ইটভাটর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর মেহেরপুর প্রতিদিনে ‘ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।