মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাংনী হাসপাতাল বাজারের এফ.এম.জি ট্রেডার্স মালিকের ও তার ভাইয়ে নামে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট ২য় আমলী আদালতে এই মামলা করা হয়, যাহার সি আর নং-২৫০-২৫১-২০২০ (গাংনী)।
একই উপজেলার রামদাসপুর গ্রামের মৃত একতার আলীর ছেলে একরামুর হক বাদী হয়ে গাংনী পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত: আজিমুদ্দীনের ছেলে নুরুজ্জামান (প্রো: এফ.এম.জি ট্রেডার্স) ও তার ভাই কামাল এর নামে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২৫০, ধারা-৪০৬,৪২০.৫০৬। পেনাল কোড, মামলা নং-২৫১, ধারা-৪৬৭.৪৬৮.৪৭১.৪১৮.৪২০ দ:বি: ধারাতে মামলা দায়ের করেন।
বিগত ২৩-০৫-২০১৭ সালে সার দেওয়ার নাম করে অগ্রমী ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, চেক মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা যাহার চলতি হিসাব নং-১৩১, যাহার চেক নং- ঢব-সগ-(৪৫৪১৮১৪) টাকা পরিমাণ ছিলো ২০ লক্ষ টাকা মাত্র, ২৫-০৫-২০১৭ তারিখে নগদ- ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
১-ট্রাক বেঙ্গল মিশ্র সার দেয় যার পরিমাণ ছিলো ৪০০ বস্তা সে সময় বাজার ছিলো মূল্য ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মাত্র।
বিজ্ঞ আদালত আমার আইনজীবী মাধ্যমে শুনানী করে উক্ত মামলাটি পিবিআই কে তদন্ত করিয়া। আগামী ১২-০১-২০২১ তারিখে মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করিবার নিদেশ প্রদান করেন।
মামলার সাক্ষী এনামুলের ছেলে আশাদুল জানান, এফ.এম.জি ট্রেডার্স মালিক নুরুজ্জামান ব্যবসায়ী সমাজের আস্তবিশ্বাসকে নষ্ট করেছে।
মৃত সাত্তারের ছেলে সামছুল জানান, গাংনী হাসপাতাল বাজারের সার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান, একরামুল কে ব্যবসায়ী ভাবে শেষ করে দিয়েছে আমি তার শাস্তি চাই।
নজরুল ইসলামের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল জানান, সার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান ও কামাল এরা ২জন মিলে সার ব্যবসায়ী একরামুলকে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল জানান, একরামুলের কাছে থেকে ২৬ লক্ষ টাকা নিয়ে সার না দিয়ে যে প্রতারণা করেছে নুরুজ্জামান ।
মৃত আক্তাব উদ্দীনের ছেলে আমিরুল জানান, সার ব্যবসায়ী একরামুল হক একজন সহজ সরল মানুষ তাকে সার দেবো বলে ২৬ লক্ষ টাকা নিয়ে যে প্রতারণা করেছে নুরুজ্জামান এটা কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।
মামলার বাদী একরামুল হক জানান, প্রতারক নুরুজ্জামান আমাকে প্রতারণা করে অর্থনৈতিক ভাবে সর্ব শান্ত করে দিয়েছে। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করিতেছি যাহাতে আমি ন্যায় বিচার পায় সে দিকে সু-দৃষ্টি দিবেন।