নিজের ভাতিজিকে আয়া পদে নিয়োগ দিতে নানা ফন্দি এটেছেন গাংনীর রামকৃষ্ণপুর পুর ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইলিয়িাস হোসেন। একটি অপ্রচলিত স্থানীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই পত্রিকা নিজের কাছে সংরক্ষণ করেন তিনি। এব্যাপারে সভাপতি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে এলাকায় নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সকলকে নিয়োগে আবেদন করার সুযোগ পেতে নিয়োগ পক্রিয়া বন্ধের দাবী এলাকাবসীর।
জানাগেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট আয়া পদে নিয়োগ সংক্রান্ত গত ১৮/৮/২০২১ ইং তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে এবং কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত একটি স্থানীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন গ্রহনের শেষ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। এলাকার অনেকেই হণ্যে হয়ে খুঁজেও মেলাতে পারেনি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি। সভাপতি ইলিয়াস হোসেন তার ভাতিজি লাবনি খাতুন কে আয়া পদে নিয়োগ দেবার জন্য এমন কুটকৌশল আঁটেন। এজন্য স্থানীয় বসতি সুমনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন, নুরুল ইসলামের মেয়ে শান্তি খাতুনকেও আবেদন করান।
মোট তিনটি আবেদন জমা পড়ে সভাপতির কাছে। অন্যরা আবেদন করতে চাইলে তাদের সাথে মোটা অংকের টাকার দাবী করেন বলে জানান অবেদনিচ্ছুক অনেকেই। সভাপতি ইলিয়াস হোসেন মোটা অংকের টাকা দাবী করায় অন্য কেউ আবেদন করতে পারেনি। আবেদনিচ্ছুক এক নারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে জানান, আমি আবেদন করার জন্য কয়েকবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চেয়েছি,বার বার বিদ্যালয়ে গিয়েও মেলাতে পারিনি। পরে আমার সাথে ৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা না থাকয় আবেদন করতে পারিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গানো হয়নি। সভাপতির আত্নীয়কে নিয়োগ না দেবার দাবীসহ নিয়োগ পক্রিয়া বন্ধের দাবী জানান এলাকাবাসী।
নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদেরও সাথে কথা বল্লে তাদেরকেও জানানো হয়নি বলেও জানান অন্য শিক্ষকরা। পরে বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়েও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত কোনো নোটিশ বিদ্যালয় আঙ্গিনায় পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সাথে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো কিছুই জানিনা। সবই সভাপতি বলতে পারবেন । আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আপনাদের যা বলার আর তথ্য নেবার তা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সাথে কথা বলতে বলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়ে আয়া পদে আবেদন করেছে। সে সহ আরো দুজন আবেদন করেছে। মোট তিনটি আবেদন এসেছে আমার কাছে। তবে এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে। এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার বলেন, আমি এর কিছুই না। আমি নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য মাত্র।