বাল্য বিবাহ একটি অভিসাপ। বাল্য বিয়ের ফলে আমরা আগামীতে যেমন একটি পুস্টিহিন জাতী পাবো, তেমনী হারাবো আমাদের আদরের সন্তানকে। তাই পিতা মাতা তাদের সন্তানকে মৃত্যুর কোলে তুলে দিতে চাননা। সচেতন হয়েছেন অভিভাবকরা। সরকারি এবং বেসরকারী উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযাগীতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে এই গ্রামটিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এরফলেই সচেতন হয়ে উঠছেন এলাকার অভিভাবকরা। এজন্যই বিগত ৫/৬ বছরের ইতিহাসে গাংনী উপজেলার খ্রীষ্টান অধ্যুষত নিত্যনন্দপুর গ্রামে একটিও বাল্য বিয়ে হয়নি।
আজ সোমবার বিকালে (২২ এপ্রিল) বিকালে নিত্যনন্দপুর গ্রামটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিয়ে মুক্ত গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে নিত্যনন্দপুর গ্রামকে শিশুবিবাহ মুক্ত ভিডিটি এলাকা ঘোষণা উপলক্ষে র্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“শিশুবিবাহ বন্ধ করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গাংনী উপজেলার নিত্যনন্দপুর গ্রামের ইউনাইটেড চার্চের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা বেঞ্জামিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম মোস্তফা।
বিশেষ অতিথিরি বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী অঞ্চলের এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন।
স্থানীয় নারী নেত্রী হোসনে আরা হাসি মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় চার্চের পুরোহিত মিলন মন্ডল, মিস্টার কাজল মন্ডল, হান্না মন্ডল, সুশি সরকার প্রমুখ। এসময় ধানখোল ইউনিয়নের ইউসি আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগীয় এই কর্মসূচির আয়োজন করে নিত্যনন্দপুর গ্রাম উন্নয়ন দল, ধানখোলা ইউনিয়ন ইয়ূথ ইউনিট ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ।
এর আগে একটি র্যালী সভাস্থল থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।