মেহেরপুরের গাংনী পৌর সভার প্রথম মেয়র মরহুম আমিরুল ইসলামের মৃত্যুর ১৬ বছর পর আবারও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মরহুম মেয়রের পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজ ভাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মরহুম মেয়র আমিরুল ইসলামের স্ত্রী মিসেস সালমা ইসলাম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ১৬ বছর যাবৎ ভাল ভাবে জীবন যাপন করে আসছিলেন। হিজরি সনের গত ১৪ সাবান তার ছেলে শাওন ও মেয়ে প্রভাতি ইসলাম সোমা তাদের বাবার হত্যার বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যটাস দেয়। সেই কারণে তার সন্তানদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলার সময় তার সন্তানদের না পেয়ে তার গৃহবধুর উপর হামলা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিসেস সালমা ইসলাম বলেন, আমরা কারোর ক্ষতি চাইনি, আমরা চাই সকলে সুখে থাকুন।
তিনি বলেন, গত ১৬/০৪/২০২০ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনায় গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয় ঐ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মরহুম আমিরুল ইসলাম ও মিসেস সালমা ইসলামের মেয়ে প্রভাতি ইসলাম দাবি করেন, আমাদের উপর অনেক আগে থেকেই হামলার টার্গেট রয়েছে দূর্বৃত্তদের। আমার ছোট ভাই শাওন অথবা আমার উপরই তাদের লক্ষ ছিল। আমরা ঘরের ভিতর থাকার কারণে তারা আমার ভাইয়ের স্ত্রীর উপর হামলা করেছে। প্রভাতি ইসলাম সোমা দাবি করেন ওখানেতো আমিও থাকতে পারতাম বা আমি থাকলে আমার উপরেও হামলা হতে পারত।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিসেস সালমা ইসলাম বাংলাদেশ সরকার, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতি মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাহিদুজ্জামান খোকন, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম এর কাছে সুষ্ঠ তদন্ত সহকারে তাঁর স্বামী হত্যা ও ছেলে স্ত্রীর উপর হামলার বিচার দাবি করেন। সাথে সাথে গাংনীর জনসাধারণের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিসেস সালমা ইসলামের ছেলে শাওন ইসলাম বলেন আমার বাবাকে অনেক আগেই হত্যা করেছেন আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এ সময় তিনি অনুরোধ করেন হামলা না করার জন্য।