গাংনীর বালিয়াঘাট গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আব্দুল লতিফ (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত আব্দুল লতিফের ছেলে আজমত আলীকে মারধর করার হুমকি দেয়ায় বাড়ি যেতে পারছেনা বলে অভিযোগ আজমত আলীর পরিবারের। বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও সুরাহা হয়নি । তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংসার চেস্টা চলছে বলে জানান আব্দুল লতিফের ওপর হামলাকারীরা।
জানাগেছে, গাংনীর বালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আজমত আলী নিজ জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করছিলেন। ঘরনির্মাণের সময় প্রতিবেশি ফরমান আলীর ছেলে ইমারুল ইসলাম,জিয়ারুল ইসলাম ও ইসরাফিল সহ বেশ কয়েকজন ঘর নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। কয়েক মাস ধরে এই নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে আজমতের ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেন। আব্দুল লতিফের বাড়ির পাশে আর জমি না থাকায় প্রতিবেশিদের চলাচলের রাস্তা বালির বস্তা ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে আজমত আলী। এসময় ফরমান আলীর এক ছেলে আলগামন নিয়ে বাড়ি যেতে না পারাই বালির বস্তা ও ইট অপসারন করতে বলায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে বৃদ্ধ আব্দুল লতিফকে মারধর করে ফরমান আলীর তিন ছেলে জিয়ারুল ,ইমারুল ও ইসরাফিল। এসময় আব্দুল লতিফ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধঅর করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এবিষয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে আব্দুল লতিফ। পাল্টা অভিযোগ করেন হামলাকারীরাও। তবে আব্দুল লতিফের ছেলে আজমত আলী বাড়ি যেতে পারছেনা বলে অভিযোগ করে বলেন আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি ওরা আমাকেউ মারধর করার হুমকি দিচ্ছে।
ইমারুল ইসলাম জানান, আব্দুল লতিফকে মারধর করা হয়নি। ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হবে। গাংনী থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য এসআই হাবিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।