মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিএন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আ.ফ.ম আলিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ এবং ২০১৭-২৮ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শেণীর ১৮ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
দুই দফায় দুই হাজার একশত টাকা করে ৩৭ হাজার আট’শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। শিক্ষাথীদের টাকা উঠানোর ক্ষেত্রে শ্বশুর, স্ত্রী ও ভাইসহ নিকট আত্মিয়ের রকেট নাম্বার ব্যবহার করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
তবে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষার্থী ড্রপ হয়ে যাওয়ায় তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের টাকা সংরক্ষিত রয়েছে।
অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্ত হয়। এর মধ্যে ৬ জন টাকা উত্তোলন করতে পেরেছেন। বাকি ৯ জন পারেননি। এই নয় জনের মধ্যে শারমিনা আক্তার, রাবিয়া খাতুন, শ্যামলী খাতুন টাকা পায়নি জানিয়ে কলেজে লিখিত অভিযোগ করলে কলেজ কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে বিষয়টি নিয়ে গত ২১ জুলাই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়। তার প্রেক্ষিত গত ২৬ আগস্ট বুধবার জেলা শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত করেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও ১৫ জনের মধ্যে নয় জনই টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। ওই শিক্ষাবর্ষে যারা উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা হলেন- মোছাঃ আছমা খাতুন, মোছাঃ আফরােজা খাতুন, মোছাঃ নাজমিন খাতুন, মনোয়ারা খাতুন, মোছাঃ খুশি খাতুন, মোছাঃ মিম খাতুন, উম্মে সালমা, মোছাঃ লিমোনা খাতুন, মোছাঃ রেজবিনা খাতুন।
এ ব্যাপাওে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ আ ফ ম আলিমুজ্জামান মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, কলেজে অনেক সময় ড্রম শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাই। যে কারণে ওই শিক্ষার্থীদের সন্ধান না পাওয়ায় টাকাটা আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। আমি ওটা জেলা শিক্ষা অফিসারকেও জানিয়েছি। পদ্ধতিগতভাবে আমি ওই টাকা দিয়ে দেব।