মেহেরপুরের গাংনীর রায়পুর ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বাদী বিবাদী ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তদন্ত করেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সামসুজ্জোহা।
তদন্তকে কেন্দ্র করে সহিংশতার আশংখায় ইউপি কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সামসুজ্জোহা বলেন, ঝোড়পাড়া গ্রামের ৫জন নারী পুরুষ ইউপি সদস্য বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার ১ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগটি তদন্ত করতে আমাকে নির্দেশনা দেয়া হলে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তিনি বলেন,বাদী বিবাদী ও ইউপি চেয়ারম্যান সহ গ্রামের কয়েকজনের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। আগামি সপ্তাহে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে তদন্ত করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য বলেন, অভিযোগকারী ৫ জনের মধ্যে জামাল হোসেন, আকলিমা খাতুন ও রেজিয়া খাতুন তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে লিখিত দিয়েছেন।
এছাড়া এ ওয়ার্ডের আরো অন্তত ৩০ জন বিভিন্ন ভাতাভোগী রয়েছেন তারা কেউ অভিযোগ করেনি। যে দুএকজন অভিযোগ করেছে সে অভিযোগ মিথ্যা। একটি মামলাকে কেন্দ্র করে ফায়দা লুটতে ও রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে বিগত নির্বাচনে যারা পরাজিত হয়েছিলেন তারা কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাজনীতি শুরু করেছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। মিথ্যাচারের জবাব জনগন অবশ্যই ব্যালটের মাধ্যমেই দেবে।
তবে অভিযোগকারীরা বলেন অভিযোগ দিয়েছি সঠিক তদন্ত করা হলে সত্য বের হয়ে আসবে। রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যার গোলাম সাকলায়েন সেপু বলেন,যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবেনা। তবে তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টা উঠে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পেরা ইনচার্জ জানান,তদন্ত চলাকালে কোন ধরনের সংঘর্ষ না হয় এজন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত শুরু হওয়ার পূর্ব থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ ছাড়াই শান্তিপূর্ন ভাবে তদন্ত শেষ হয়েছে।