গাংনী সাব-রেজিষ্টার অফিসে সকল কাজ কর্ম সরকারি নিয়মেই হবে। এর ব্যাতায় ঘটলে তার দায়ভার অফিস প্রধানকেই বহন করতে হবে। আগে যা হয়েছে তা করার চেষ্টা করবেননা বলে সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারি ও মহুরাদের নির্দেশনা দেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
বুধবার সকালে মেহেরপুর -২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন গাংনী উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের কার্যালয় পরিদর্শন কালে দুর্নীতি মুক্ত অফিস পরিচালনায় কর্মকর্তা কর্মচারিদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,গাংনী থানার ওসি ওবায়দুর রহমান,আওয়ামীলগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু উপস্থিত ছিলেন।
গাংনী সাব-রেজিষ্টার অফিসে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জমি রেজিষ্ট্রি,দলিলের ফটো কপি,নকল গ্রহন অতিরিক্ত টাকা আদায়, ফাইলিং খরচ দ্বিগুন করে সাব রেজ্ষ্টিার তার অফিস পরিচালনা করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন অফিস পরিদর্শনে যান।
সেখানে সাব-রেজিষ্ট্রার মাহফুজ রানার সাথে কথা বলেন। সরকারি নির্ধারিত মুল্য তালিকা টাঙ্গানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এক পার্সেন্ট টাকা সরকারি ভাবে কমানোর কথা, সেই নতুন তালিকা চার্টার জনসম্মুখে রাখার পরামর্শ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মাহফুজ রানা গাংনী সাব রেজিষ্টার হিসেবে যোগদানের পর থেকে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এছাড়াও হ্যান্ড মাইক ক্রয় বাবদ তিনি দুই কার্য দিবস দলিল প্রতি ১৫০ টাকা করে অতিরিক্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
গাংনী সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফাকের আলী জানান, হ্যান্ড মাইক ক্রয় বাবদ টাকা নেয়া হয়েছিল কিন্তু কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা একটি হ্যান্ড মাইক আমাদের উপহার দিয়েছেন। তবে উত্তোলনকৃত টাকা পাবলিক টয়লেট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মিকে বেতন বাববদ দেয়া হয়েছে।
সাব-রেজিষ্টার মাহফুজ রানা বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর থেকে সব কিছু একটা পরিবেশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি। অনেকেই অনেক ভাবে আমার বিরুদ্ধ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করতে পারে। তবে খুব শিঘ্রই গাংনী সাব-রেজিষ্টার অফিস বাংলাদশের মধ্যে দুর্নিতি মুক্ত অফিস হিসেবে উপহার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে আমি আশাবাদি।
মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, গাংনীর মানুষ খুব-ই স্বল্প আয়ের মানুষ। অনেকেই কষ্ট করে টাকা পয়সা জোগাড় করে মাথা গোজার জন্য এক টুকরা জমি কিনতে গিয়ে হয়রানি হচ্ছে এবং অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং নানা ধরনের গুঞ্জন শুনে আমি সাব-রেজিষ্টারের সাথে কথা বলেছি যাতে সরকারি নির্ধারিত খরচে মানুষ কাজ করতে পারে। কোন সিন্ডিকেট করে মানুষকে জিম্মি করা যাবেনা এবং দুর্নীতিমুক্ত সাব-রেজিষ্টার হিসিবে গাংনীর নামটা যেন উজ্জল হয় সে বিষয়েও দিক নির্দেশনা দেন এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন।