মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের জন্য সরবরাহকৃত খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী সাধারণ। ঠিকাদারদের দেয়া খাবারের মান যাচাই ও ওজন পরিমাপ করার নিয়ম থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। খাবারের মান ও ওজন দেখে না নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সাদিয়া সুলতানা।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাঝে মধ্যে রোগাক্রান্ত পোল্ট্রি মুরগী ও পচা সিলভার কার্প মাছ সরবরাহ করা হয়। নিয়মানুযায়ি আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার খাবারের মান যাচাই ও ওজন ঠিকভাবে দেখে নিবেন। কিন্তু আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার তা করেন না। বাবুর্চির দেয়া তথ্য নোট করে নেন। আবার কতটুকু খাবার দেয়া হচ্ছে তা ঠিক পরিমাপ করা হয় না। ঠিকাদার যা বলেন সেটাই লিপিবদ্ধ করে বিল দেয়া হয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন রোগি জানান, যে খাবার দেয়া হয় তা গরীব মানুষেরা নিজ বাড়িতেও খান না। বাধ্য হয়ে অনেক রোগী বাড়ি কিংবা বাইরে থেকে খাবার কিনে আনেন।
বাবুর্চি লাইলী জানান, তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে যা পান তা আরএমও সাহেবকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন। কতজন রোগীর খাবার বা কতটুকু তা ওজন দেখেন না তিনি।
এদিকে কতজন রোগী ভর্তি থাকেন আর কতজনকে কি খাবার দেয়া হবে সে বিষয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সাদিয়া সুলতানা জানান, কোন অফিশিয়াল তথ্য নিতে হলে তথ্য আইনে ফরম পুরুণ করে নিতে হবে। খাবারের মান যাচাই সম্পর্কে তিনি জানান, প্রতিদিন খাবার দেখে মেপে নেয়ার কোন বাধ্য বাধকতা নেই তাই বাবুর্চির দেয়া তথ্য ঠিকভাবে ধরে নেয়া হয়।
গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক জানান, করোনার কারণে হাসপাতালে যাওয়া হয়নি। বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যস্ত ছিলাম। এখন গিয়ে সব দেখা হবে। কোন অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
মেহেরপুর-২ গাংনীর সাংসদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কমিটির সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন জানান, সঙ্গত কারণেই খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।