তিনি সুনীল গাভাস্কারের বড় ভক্ত। গাভাস্কারকে গুরুর সমান মনে করেন ইরফান পাঠান। তাই গুরুর অসম্মান মেনে নিতে পারেননি সাবেক ভারতীয় এই অলরাউন্ডার। সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় আনুশকা শর্মাসহ নেটিজেনদের জবাব দিলেন।
টুইটারে ইরফান লিখেছেন, সবসময়ের জন্য শ্রদ্ধা। সর্বদা সুনীল গাভাস্কার স্যারকে সম্মান করবেন, সবসময়। নিজের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ইরফান বুঝিয়ে দিয়েছেন একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার যিনি ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন, তাকে এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি আনুশকা শর্মার।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর ম্যাচে লাইভ কমেন্ট্রিতে থাকা গাভাস্কারের মন্তব্য ঘিরে। ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের হয়ে হিন্দিতে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন, লকডাউন চলাকালীন কেবল আনুশকা শর্মার বোলিং প্র্যাকটিস করেছে কোহলি। আর এতে বিশেষ লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না। কিংবদন্তির এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। নেটাগরিকরা বলেন, এমন মন্তব্যে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
এরপর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আনুশকা শর্মা পাল্টা লেখেন, মিস্টার গাভাস্কার আপনার মন্তব্য কুরুচিকর ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু আমি জানতে চাই একজন ক্রিকেটারের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করে আপনি কীভাবে এমন একটি মন্তব্য করলেন? বছরের পর বছর ধরে ধারাভাষ্যের সময় আপনি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে সবসময় বিরত থেকেছেন। আপনার কী মনে হয় না আমি বা আমাদেরও একই সম্মান প্রাপ্য ছিল? আমি নিশ্চিত আমার স্বামীর পারফরম্যান্স নিয়ে বলার জন্য আপনার কাছে অন্য অনেক বাক্য ছিল কিন্তু আপনার কী আমাকে টেনে আনাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল?
কিন্তু তিনি আসলে ঠিক কী বলেছেন। একটি প্রথম সারির সংবাদমাদ্যমে আনুশকা শর্মার ইনস্টা স্টোরির পরিপ্রেক্ষিতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন। তার মন্তব্যের সম্পূর্ণভাবে অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তোমরা যদি শোনো আমার কমেন্ট্রি তাহলে দেখবে আকাশ এবং আমি হিন্দি চ্যানেলের হয়ে কমেন্ট্রি করছিলাম এবং আকাশ বলছিল লকডাউনে ক্রিকেটারদের সীমিত অনুশীলনের কথা। যে কারণে প্রথমদিকের ম্যাচগুলোতে ক্রিকেটারদের মধ্যে জড়তা কাজ করছে। রোহিত প্রথম ম্যাচে ঠিকঠাক বল স্ট্রাইক করতে পারেনি, ধোনিও পারেনি, বিরাটও পারেনি। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানদের একই অবস্থা অনুশীলনের অভাবে।
এখানেই প্রশ্নটা ওঠে যে লকডাউনে বিরাট কোনও প্র্যাকটিসের সুযোগ পায়নি। যেটুকু করেছে সেটা তাদের আবাসনে এবং আনুশকা তাকে বোলিং করেছিল। এটাই আমি বলেছি।
আনুশকা কোহলিকে বোলিং করছিল আমি শুধু এই কথাটা ব্যবহার করেছি অন্য কিচ্ছু না। এখানে কীভাবে আমি আনুশকাকে দোষারোপ করলাম? কোথায় বা তার প্রতি শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করলাম। ভিডিওতে যা দেখেছি আমি সেটাই বলেছি। যেটা ওদের কোনও প্রতিবেশী রেকর্ড করে ইন্টারনেটে আপলোড করেছিল। আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল এটাই যে লকডাউনে কেউই পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। কেউ যদি এটাকে বিকৃত করে তাহলে আমার কী করার আছে?
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন