শনিবার সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিলো চুয়াডাঙ্গা। সকাল থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। সব যানবাহনই হেডলাইট জালিয়ে চলাচল করছে। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ছিলো মাত্র ২০০ মিটার।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা থাকলেও শীত আছে। শীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের কুল ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, খুবই কুয়াশা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ক্রেতা নেই। কুল বিক্রি করতে পারছি না। ৬০ টাকার কুল ২০ টাকাতেও কেউ কিনছে না।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে আসা শহরের গুলশানপাড়ার ইদ্রিস আলী বলেন, কুয়াশার কারণে শহরের মধ্যেও চলাচল করা যাচ্ছে না। সকাল ৯টার সময়ও কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা শহরের ভ্যান চালক আব্বাস মন্ডল জানান, ভোরে তিনি শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এসে দেখেন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। একইভাবে কুয়াশা আছে সারাদিন। শহরে লোকজন কম। যাত্রী নেই। কোনো আয় হয়নি তার।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চুয়াডাঙ্গা। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ যানবাহন চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার দৃষ্টিসীমা ছিলো ২০০ মিটার। সারাদিন সূর্য দেখা যায়নি।